মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ডালিয়া প্রধান সেচ খালের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ উঠছে। জলঢাকা দুন্দিবাড়ী থেকে কিশোরগঞ্জের সিটরাজীব পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার সেচ খালের এ্যাকোয়ারে বড় বড় গর্ত করে সেই মাটি দিয়ে সংস্কার কাজ করছে। এতে করে ক্যানেলের বাঁধসহ পার্শ্ববতী জমি ভেঙ্গে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছে জমির মালিকরা ।এলাকাবাসী আরো জানায় প্রকল্প এলাকায় কাজের নিয়ামাবলী সংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙানোর নির্দেশনা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের মেয়াদের শেষ সময়েও কোন সাইনবোর্ড টাঙায়নি।
জানা গেছে, নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের(পাউবো) অধিনে ডালিয়া সেচ প্রকল্পের প্রধান খালের দুই তীর জলঢাকা দুন্দিবাড়ী থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার সীটরাজিব পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার মাটির কাজে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কাজটি করছেন পটুয়াখালীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিজানুর আলম(জেভি)। আওয়ামীলীগের আমলে কাজ বাগিয়ে নেয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি বাহিরে থেকে মাটি নিয়ে না এসে সেচ খালের এ্যাকোয়ার কেঁটে বড় বড় গর্ত করে সেই মাটি দিয়ে সংস্কার কাজ করছেন যা একেবারেই নিয়মবহিভূত। কাজের নিয়মাবলীতে বলা আছে বাহির থেকে এঁটেল-দোআশ মাটি সংগ্রহ করে সংস্কার কাজ করতে হবে। কিন্ত এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কাজ চলমান রেখেছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। তবে নীলফমারীর পাউবো বোর্ড বলছে কৃষকদের অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ট্যাংকের বহর ভারতীয় সীমান্তের দিকে যাচ্ছে?
প্রকল্প এলাকার জমির মালিক পায়েল, জিকরুল, লিটন,শাহজালালসহ আরো অনেকে বলেন- ক্যানেল সংস্কারের কাজে বাহিরে থেকে মাটি নিয়ে এসে কাজ করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার তা না করে নিয়ম বহিভূতভাবে স্কেভেটর দিয়ে ক্যানেলের গা ঘেসে বড় বড় গর্ত করে সংস্কার কাজ করছে। এতে করে ক্যানেলের বাঁধসহ আমাদের কৃষি জমি ভেঙ্গে যাওয়ার মারাত্বক ঝুকির মধ্যে রয়েছে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বার্হী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন কৃষকদের কাছে অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব পেলে চুক্তির শর্তানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অংশিজন খাদেমুল ইসলামকে মোবাইল ফোন ও খুদে বার্তার মাধ্যমে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোন প্রতিত্তোর প্রেরন করেন নাই।