লেখকঃ অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজজাক রাজু।
পরিচয়ঃ
কবি আনিসুল হক ১৯৬৫ সালে ৪ মার্চ নীলফামারী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোঃ মোফাজ্জল হক মাতাঃ মোছা আনোয়ারা বেগম। স্ত্রীঃ মোসা মেরিনা ইয়াসমিন।এক মেয়ে পদ্ম পারমিতা।
শিক্ষাঃ
প্রাথমিক শিক্ষার পর আনিসুল হক ১৯৮১ সালে রংপুর জেলা স্কুল থেকে এস,এস,সি পাশ করেন।১৯৮৩ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচ,এস,সি (অষ্টম স্থান) আতপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং বি,সি,এস পরীক্ষায় ১৯৯৫ সালে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
চাকরিঃ
বি,সি,এস পাশের পর বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকরিতে যোগদান করেন রেলওয়েতে একমাস চাকরি করার পর লেখালেখির প্রবল ইচ্ছা ও সাংবাদিকতায় সময় দেওয়ার জন্য নিজেকে ঢাকায় থাকার প্রয়োজন মনে করে রেলওয়ের চাকরি ছেড়ে দেন।
পত্রিকার সম্পাদনাঃ
আনিসুল হক চাকরি ছেড়ে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত হন।তিনি ১৯৮৭ সালে সাপ্তাহিক দেশবন্ধু পত্রিকার শহ সম্পাদক।১৯৮৯ সালে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক খবরের কাগজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদ।১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দৈনিক ভোরের কাগজের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম আলো পত্রিকায় চাকরীঃ
১৯৯৮ সালে আনিসুল হক প্রথম আলো পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন আজও পর্যন্ত এই নন্দিত ও সফল সম্পাদক এই পত্রিকার সাথে যুক্ত আছেন। পাশাপাশি নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:ভুরুঙ্গামারী তে বি এন পি নেতার বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরী দায়ের।
সাহিত্য সাধনাঃ
কবিতা লিখার মধ্য দিয়ে কবি আনিসুল হক তার সাহিত্য জীবন শুরু করেন।কবিতা লেখা ছাড়াও পরবর্তী সময় তিনি সাংবাদিকতা, কথাসাহিত্য, নাট্যকার, ও কলাম লেখক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
লেখক সম্মেলনে যোগদানঃ
২০১০ সালে আনিসুল হক আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রামে যোগদান করেন।তিনি ছাড়াও তার সঙ্গে এই প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের ৩৭ জন লেখক অংশগ্রহণ করে ছিলেন। এই লেখক সম্মেলন সংস্থাটি ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হয় এবং কবির অংশগ্রহণের সময় ২০১০ সাল পর্যন্ত ১১৩ টি দেশের ১২ শত আলোচিত লেখক অংশগ্রহণ করেন।
তার লেখা জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থঃ
খোলা চিঠি সুন্দরের কাছে (১৯৮৯) আমি আছি আমার অনলে (১৯৯১) আসলে আয়ুর চেয়ে বড় সাত্তার আকাশ দেখা (১৯৯৫) জলরং পদ্ম (২০০২) তোমাকে ভাবনা করি, তোমাকে না পাওয়ার কবিতা ইত্যাদি।
তার লেখা জনপ্রিয় উপন্যাসঃ
তার সর্বাধিক জনপ্রিয় উপন্যাস”মা”এছাড়া বেকারত্বের দিনগুলিতে প্রেম, ভালোবাসা আমি তোমার জন্য কাঁদছি, আমার একটা দুঃখ আছে, ক্ষুধায় এবং ভালবাসার গল্প, ফাগুন রাতের আঁধারে, তোমার জন্য, আলো অন্ধকারে যায়, সেঁজুতি,জিম্মি, রিদিতা ইত্যাদি।
তার লেখা নাটকঃ
লাল পিরান, করিমন বেওয়া প্রত্যাবর্তন, সাঁকো, চড়ুইভাতী, প্রতি চুনিয়া,সহ কবি আনিসুল হক বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটক রচনা করেন।
সিনেমার নাট্যরূপঃ
ব্যাচেলর, মেড ইন বাংলাদেশ, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, বৃত্তের বাইরে, স্বপ্নটা ডানায়, ইত্যাদি।
পুরস্কার ও অসম্মাননাঃ
২০১২ সালে কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৯ সালে আনন্দ আলো শিশু সাহিত্য পুরস্কার, কবি মুজাম্মেল হক ফাউন্ডেশন পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ টিভি পুরস্কার সহ দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার অর্জন করেন।
ভাওয়াইয়া অঞ্চলের জন্ম নেওয়া শিল্পী হরলাল রায়, ও রথীন্দ্রনাথ রায়ের জন্মভূমি।অমর শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, মোস্তফা জামান আব্বাসীর বসতভুমি রংপুর অঞ্চল সহ উত্তরা জনপদের গর্ব আমাদের বরেন্দ্র ভূমির বরেন্য সন্তান নাট্যকার, সম্পাদক, কথা সাহিত্যিক ও কবি আনিসুল হক।