জামালপুরে এম এ রশিদ হাসপাতালে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে সারা জেলায় মানববন্ধন করেছে ক্লিনিক মালিক ও কর্মচারীরা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা শহরের সকল ক্লিনিক বন্ধ রেখে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা সদরসহ ৬ উপজেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন, জামালপুর ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি হারুণ অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী, মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, শাহ্ জামাল হাসপাতালের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বুলবুল।
বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) হাসপাতালের দুইজন কর্মচারী স্থানীয় রেল গেটপাড় থেকে খাবার নিয়ে হাসপাতালে ফেরার পথে দুটি মোটরসাইকেল সামনে পড়ে। পরে তাদের পাশ কাটিয়ে পেছনে ফেলে চলে আসেন। এর জের ধরে রাত সাড়ে ১২টায় দুর্বৃত্তরা একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে।
এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীদের কক্ষ, অভ্যর্থনা ডেস্ক, বিভিন্ন কাউন্টার, ফার্মেসি, জরুরি বিভাগ, সিটি স্ক্যান, এক্সরেসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে। এতে চারজন কর্মচারী আহত হন।
হামলার ঘটনায় রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সবাইকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান।
আরও পড়ুন: জামালপুরে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে অধিগ্রহণের চেক দাবি
এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেন তারা। অন্যথায় চিকিৎসা সেবা বন্ধের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন:বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মরণে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, এম এ রশিদ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় চাঁদাবাজির মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করে অস্ত্র উদ্ধার সাপেক্ষে অস্ত্র আইনে মামলা হবে। তাদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।