রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ট্রাম্প বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি সমাধানে সক্ষম হবেন।
বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এক নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন এসব মন্তব্য করেন।
পুতিন দাবি করেছেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের জন্য ‘অতিরিক্ত জটিলতা’ তৈরি করছেন। উল্লেখ্য, বাইডেন ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার মার্কিন মিসাইল এটিএসিএমএস (ATACMS) ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন, যা রাশিয়ার ভেতরকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে আঘাত হানতে সক্ষম।
বক্তব্যে পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মিসাইল হামলার হুমকি দেন। তিনি বলেন, নতুন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল ‘ওরেশনিক’ ফের ব্যবহার করা হতে পারে। এ সময় তিনি জানান, ইউক্রেনের সামরিক ও শিল্প স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কেন্দ্রগুলোও ভবিষ্যৎ হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
ট্রাম্পের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে পুতিন বলেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট একজন বুদ্ধিমান এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তি। আমি মনে করি, তিনি সমাধান খুঁজে পাবেন। তিনি আরও বলেন, বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খারাপ থাকলেও ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর তা উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পুতিন উল্লেখ করেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্পকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অসভ্য ও ভিত্তিহীন বিচার প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদাহরণ।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ায় প্রথম হামলায় ট্রাম্প আহত হন। পরে সেপ্টেম্বরে আরেকটি ঘটনায় ফ্লোরিডায় এক ব্যক্তি ট্রাম্পের গলফ মাঠে অস্ত্রসহ আটক হন।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন। তবে কীভাবে তিনি এটি করবেন, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি।
পুতিনের মন্তব্য এবং রাশিয়ার যুদ্ধনীতি পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি মস্কোর বর্তমান কঠোর অবস্থানকেই তুলে ধরেছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই জটিল সম্পর্কের উন্নতি হবে কিনা, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে জল্পনা।