Homeবিনোদনসুললিত কন্ঠের অধিকারী শিল্পী রফিকুল আলম মার্জিত ও পরিমিত গান পরিবেশন যার...

সুললিত কন্ঠের অধিকারী শিল্পী রফিকুল আলম মার্জিত ও পরিমিত গান পরিবেশন যার বৈশিষ্ট 

পরিচয়ঃ
জন্ম রাজশাহী জেলা সদরে।তিনি বেড়ে ওঠেন রাজশাহীতে। প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক লেখাপড়াও রাজশাহীতে। স্ত্রী আবিদা সুলতানা।এক পুত্র সন্তান। বড় ভাই বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ডক্টর সরোয়ার জাহান। প্রফেসর বাংলা বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রথম সংগীত পরিবেশনঃ
১৯৬৭ সালে শিল্পী রফিকুল আলম রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন। ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করতেন।

ওস্তাদঃ
শিল্পী রফিকুল আলম তার সংঙ্গীত জীবনে ওস্তাদ পন্ডিত হরিপদ দাস, ওস্তাদ আব্দুল জব্বার এবং কলকাতার ওস্তাদ ছগির উদ্দিন খান এর অধীনে সংগীতের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এর পর তিনি কনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অজিত রায়ের কাছ থেকে অতুল প্রসাদী গান শিখেন।

রফিকুল আলমের স্ত্রীঃ
শিল্পী রফিকুল আলম বাংলাদেশের আরেক কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আবিদা সুলতানাকে১৯৭৫সালে বিয়ে করেন। আবিদা সুলতানা ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও বাংলাদেশ বেতারে সংগীতশিল্পী হিসেবে তালিকা ভুক্ত হন।আবিদা সুলতানা ১৯৭৪ সালে প্রথম সিনেমায় গান পরিবেশন করেন। সুরেলা কন্ঠের অধিকারী এই শিল্পী বর্তমান পর্যন্ত ৪৫০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে সংগীত পরিবেশন করেছেন।আবিদা সুলতানার ছোট ভাই সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন।

শিল্পী রফিকুল আলম ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন সেই থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রের জন্য ৩০০ টিরও অধিকার গান রেকর্ডিং করেন।

পুরস্কারঃ
শিল্পী রফিকুল আলম তার সুরেলা কন্ঠের জন্য দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং একবার সিনে সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার পেয়েছেন।

রফিকুল আলমের জনপ্রিয় গানঃ

(১)আমার বাউল মনের একতারা টা আমার বাউল মন।
(২)এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে সে।
(৩) বৈশাখী মেঘের কাছে জল চেয়ে তুমি কাঁদবে আমি।
(৪) মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।
(৫) যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে মনে হয় এ দেহে
(৬) বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম।
(৭) আশা ছিল মনে মনে প্রেম করিব বন্ধুরও সনে।
(৮) রূপসীর মনটা খ্যাটি প্রেম তো খাটি হয়না তোমা।
(৯) দয়াল কি সুখ তুমি পাও যেজন তোমার প্রেমের।
(১০) ছুইয়ো না ছুইওনা মনে যে লাগে ভয় ওচোখে।
(১১) যদি এমন একটা নদী পেতাম ও যে নদীর কা।
(১২)এক নদীরই উজান ভাটি আমরা দুটি তারা এক।
(১২) একি বাঁধনে বলো জড়ালে আমায় ভাবি যত বা।
(১৩)তোমাকে যেন ভুলে না যাই সে আশিস দাও মো।
(১৪)জীবনের এই যে রঙ্গিন দিন রোবেনা হায়রে চির।
ইত্যাদি।

লেখকঃ অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজজাক (রাজু)।
গ্রন্থ বরেন্দ্রভূমির বরেণ্য ব্যক্তি। পর্বঃ ১০৪

সর্বশেষ খবর