Homeজেলাকুড়িগ্রামে তারেক রহমান’র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ

কুড়িগ্রামে তারেক রহমান’র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ

জাকা‌রিয়া শেখ, কু‌ড়িগ্রাম প্রতি‌নি‌ধি।।

কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৭ নভেম্বর’২০২৪ইং বুধবার কুড়িগ্রাম জেলা শহরের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ২৬, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব উমর ফারুক।

লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী সরকার, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, জেলা জাসাস’র সাবেক শামিম রেজা লিটন, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক চান মিয়া, কোষাধ্যক্ষ জামাল হোসেন, সদস্য সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু, কৃষক দলের হায়দার আলী, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সিরাজুল ইসলাম, রংপুর পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এর সাবেক জিএস আব্দুল আজিজ, সাবেক ছাত্র নেতা আবু বকর সিদ্দিক, রাশেদ হোসেন, মামুনুর রশিদ, ৭নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রানা মিয়া সহ বিএনপির সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি সমূহ হচ্ছে-

(১) জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।

(২) সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত¡া ও জাতীয় সমন্বয় কমিশন গঠন।

(৩) অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন।

(৪) আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা।

(৫) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারণ।

(৬) বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন।

(৭) সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন।

(৮) নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন।

(৯) স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করন।

(১০) বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন।

(১১) গণমূখী ও জনকল্যাণমূরক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন।

(১২) মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।

(১৩) দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।

(১৪) সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।

(১৫) আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন।

(১৬) ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান।

(১৭) মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবি মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা।

(১৮) প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন।

(১৯) জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন।

(২০) প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের উর্দ্ধে রাখা।

(২১) প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিস্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা।

(২২) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান।

(২৩) কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন।

(২৪) নারীর মর্যাদা সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।

(২৫) চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।

(২৬) সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এবং সার্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূরক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা।

(২৭) কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।

(২৮) সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

(২৯) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

(৩০) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।

(৩১) যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

সর্বশেষ খবর