লেখকঃ অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজজাক রাজু।
পরিচরবীন্দ্রয়ঃ
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে কিংবদন্তি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।কাঁদেরী কিবরিয়া বাংলাদেশের পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
সংগীত শিক্ষাঃ
প্রাথমিকভাবে তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার শিল্পী অজিত রায়ের কাছে সংগীতের তালিম গ্রহণ করেন। অতপর দেবব্রত বিশ্বাসের কাছে সংগীতের উচ্চতর তালিম গ্রহণ করেন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীঃ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশাত্মবোধক গানের শিল্পী হিসেবে কাদেরী কিবরিয়া সংগীত যোদ্ধাদের সঙ্গে গানের দলে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
রবীন্দ্র সংগীতঃ
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময় তিনি নিজেকে রবীন্দ্র সংগীতের শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। রবীন্দ্র সংগীতের শিল্পী কাদেরী কিবরিয়া ছিলেন বাঙালি সংগীত শ্রোতাদের কাছে প্রচন্ড জনপ্রিয় এক শিল্পী।
মার্কিন প্রবাসী হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শ্রোতাদের সংগীতের মূর্চনায় বিমোহিত করে রাখেতেন।
আরও পড়ুন:অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম হত্যার বিচার চায় জামায়াত, সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান
শান্তিনিকেতন গমনঃ
শিল্পী ১৯৭৫ সালে রবীন্দ্র নাথের ঠাকুর গানের উপর স্নাতক উত্তর ডিগ্রী অর্জনের জন্য শান্তিনিকেতনে গমন করেন।সেখানে তিনি বিখ্যাত ঝিঙ্গা শিল্প গুষ্টির সদস্য ছিলেন।
টেলিভিশনে প্রথম গানঃ
কাদেরী কিবরিয়া ১৯৬৯ সালে প্রথম টেলিভিশনে সংগীত পরিবেশন করেন। ১৯৬৯ সালে তার গাওয়া দুটি রবীন্দ্র সংগীত রেকর্ড করা হয় এবং এইচ,এম,ভি রেকডিং দ্বারা প্রকাশিত হয়। গান দুটি শ্রোতাদের নিকট ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা পায়।
পুরস্কারঃ
একুশে পদক ২০২৩ সাল।স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ২০২১ সাল।এ ছাড়াও তিনি দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার অর্জন করেন।
অবতরণিকাঃ
কীর্তিমান এই সংগীতশিল্পী বর্তমানে মার্কিন প্রবাসী। তিনি ৯০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি সেখানে অনিয়মিতভাবে বাঙালি শ্রোতাদের অনুরোধে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে বাঙালি শ্রোতাদের এক মোহময়ী আবেশে বিমগ্ধ করে রাখছেন।