ইমরুল হাসান সাজন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করা সহ ৮ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার রংপুরের মাহিগঞ্জ কলেজে বিভাগীয় সমাবেশ এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ।
রংপুরের বিভাগীয় সমাবেশ এ যোগ দিতে যাওয়া কুড়িগ্রাম থেকে একাধিক পয়েন্টে রির্জাভ করা বাসগুলো পুলিশ আটকে দিচ্ছে বলে জানায় হিন্দু নেতৃবৃন্দরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ত্রিমোহনী, ধরলা সেতু, ফুলবাড়ী সেতু, বড়বাড়ী বাজারসহ একাধিক জায়গা থেকে রংপুরগামী মেইল যাত্রীবাহী বাসগুলো যেতে দেয়া হলেও, রির্জাভ করা বাসগুলো যেতে দেয়া হচ্ছে না। বাসগুলোকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। এসময় জেলা শহরের ত্রিমোহনী বাজারে হিন্দু নেতৃবৃন্দরা বাস থেকে নেমে সড়ক অবরোধ করে, পরে সেনাবাহিনী, ডিবি ও পুলিশের একাধিক সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ৫ টি বাস ছেড়ে দেয় । এরপর ঘন্টাখানিক পরে আরো ৩টি বাস আসলে সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের একাধিক পয়েন্টে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ডিবির একাধিক সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
উলিপুরের যতিনেরহাট গ্রামের বাসিন্দা শ্রী সুকুমার চন্দ্র বলেন, বেলা ১টার দিকে আমাদের ৩টি বাস আটকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আমরা রংপুরের সমাবেশ এ যোগ দিতে পারছি না। আমাদের জোড় করে বাস থেকে নামানো হচ্ছে।’
শহরের শিক্ষার্থী শিমুল দাস বলেন, আমাদের সনাতন জাগরন মঞ্চের ৫টি বাস পুলিশ আটকে দেয় । ১ ঘন্টা পর আমরা বিক্ষোভ করলে পরে যেতে দেয় ,আমাদের এভাবে হয়রানী কেন করছে।’
এদিকে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের কাউনিয়া পয়েন্টে একটি বাসে দুবৃত্তরা হামলা চালালে ৩০ জন গুর“তর আহত হন। আহতরা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসাধীণ রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসারত শিপুল কর্মকার বলেন, আমরা কুড়িগ্রামের রাজারহাট থেকে বাস রির্জাভ নিয়ে রংপুরে যাচ্ছিলাম। এসময় কাউনিয়া বাজারে আমাদের বাস আটকে একদল যুবক অর্তকিত হামলা করে ।’
সনাতন জাগরণ মঞ্চের কুড়িগ্রাম জেলার প্রধান সমন্বয়ক রাজিব সরকার অপু বলেন, ’আমার সোনার বাংলায় আমার নিরাপদে বসবাস থাকার অধিকারের আন্দোলনে রংপুরে আজ মহাসমাবেশ । সেখানে আমাদের নেতৃবৃন্দের উপর হামলা ও বাস যেতে না দেয়া দুঃখজনক ঘটনা। আমরা কাকে বিচার দেবো?
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি নাজমুল আলম বাস আটকানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ’নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে আমরা শহরের একাধিক পয়েন্টে সব ধরনের যানবাহন চেকিং করছি। যেহুতো রংপুরে একটি মহাসমাবেশ হচ্ছে কেউ অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে না পারে এ জন্য বাস, ট্রাকসহ সব যানবাহন চেকিং করা হচ্ছে।‘