পরিচয়ঃ
নামঃ মোসা. দিলরুবা খান। জন্মঃ ৪ মে। গ্রাম কানুপুর উপজেলা আক্কেল পুর জেলা জয়পুরহাট। পিতাঃ সৈয়দ হামিদুর রহমান। হামিদুর রহমান রাজশাহী ও রংপুর বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন।দিলরুবা খানের এক মেয়ে।মেয়ে শিমুল খানও একজন ভালো কণ্ঠশিল্পী। থাকেন নিউইয়র্কে।
প্রথম গানঃ
বাংলাদেশের লোকগানের কিংবদন্তি কন্ঠশিল্পী আব্দুল আলীমের গান গেয়ে শিল্পী দিলরুবা খান গানের জগতে প্রবেশ করেন।দিলরুবা খানের ছোটবেলার প্রিয় শিল্পী ছিলেন তখনকার নন্দিত কণ্ঠশিল্পী আব্দুল আলিম।
টেলিভিশনে প্রথম গানঃ
সুরকার আহমেদ নেওয়াজ টেলিভিশন নাটকের তাকে একটি গান গাওয়ার জন্য বলেন।এটি ছিল টেলিভিশন নাটকে দিলরুবা খানের জীবনের প্রথম গান। গানটি ছিলো বিখ্যাত গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবুল লেখা “দুই ভবনে দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল রেললাইন বহে সমান্তরাল”। প্রথম টেলিভিশন নাটকেই তার গাওয়া গান অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পায়
প্রথম একক অ্যালবামঃ
প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী খালিদ হাসান মিলুর সহযোগিতায় প্রকাশ করা হয় প্রথম একক অ্যালবাম। এলবামের নাম “পাগল মন” এই এলবামটি ১৯ ৯১ সালে প্রকাশিত হয়।
এই এলবামের পাগল মন গানটি এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে সকল গানের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
তার গানের কপিরাইটঃ
২০১৯ সালে পাসওয়ার্ড চলচ্চিত্রের মধ্যে দিলরুবা খান তার গাওয়া গান পাগল মন মন রে গানের প্রথম অংশ কপিরাইট করার জন্য তিনি২০২০ সালে ২৯ জুন নায়ক শাকিব খান ও মোবাইল প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে মামলা দায়ের করেন।
ভুল চিকিৎসায় ও অসুস্থতাঃ
ওজন কমানোর জন্য ভূল ঔষধ খেয়ে দিলরুবা খান মারাত্মক অসুস্থ হয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা সময় ছিলেন গানের জগতের বাইরে। এটি তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারে প্রচন্ড ক্ষতি করে। ২০১৫ সালে নতুন গানে কন্ঠ দেওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি নতুন করে সংগীত ভুবনে ফিরে আসার চেষ্টা করেন।
দিলরুবা খানের জনপ্রিয় গানঃ
(১) কি আছে জীবনে আমার যদি তুমি না থাকো।
(২) দুই ভবনের দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল রেললাইন।
(৩) চিঠির উত্তর দিসরে বন্ধু মনেযদি লয় কাগজ গেল।
(৪) আমার অন্তরায় আমার কলিজায় প্রেমো সেল।
(৫) পাগল মন মন রে মন কেন এত কথা বলে।
(৬) কেমন করে পত্র লিখিরে বন্ধু গ্রাম পোস্ট অফিস।
(৭) বনমালী তুমি পরজনমে হইও রাধা ও বন মালি।
(৮) নাইয়ারে ন্যায়ের বাদাম ছাইরা কোন কূলে যাও।
(৯) ভ্রমর কইয়ো গিয়া বন্ধুরা প্রেম বিচ্ছেদের জ্বালায়।
(১০) নির্জনও যমুনার কোলে বসিয়া কদম্বতলে।
(১১) আমার ভালবাসার পদ্মা যমুনা মানে না
(১২) তোমার আমার দুই মেরুতে বাস কোথায়।
(১৩) আমার বুক ভরা স্বর্গীয় প্রেম দিল না তারে।
(১৪) ভালোবাসা জানতাম না আমি বন্ধু শিখাইলো।
(১৫) দেখা আরিচা ঘাটে শাহজালাল ফেরিতে রংপুর।
গ্রন্থঃ বরেন্দ্রভূমির বরেণ্যরা। পর্বঃ ২০
লেখকঃমো আব্দুর রাজজাক রাজু।সহকারী অধ্যাপক