এস এম শিমুল রানা মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা হয়ে গেল গ্রাম – বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। মাগুরা সদর উপজেলার ঘোড়ানাচ গ্রামে এই আয়োজন দেখতে ভিড় জমান দূর দূরান্ত থেকে আসা দর্শকরা। ছোট্র বাচ্চা সদস্যদের লাঠি খেলা ছিল আয়োজনের মূল আকর্ষণ। দর্শকের সমাগমে এলাকাটি যেন পরিণত হয় জনসমাবেশে। তরুণ প্রজন্মকে লাঠি খেলার সাথে সম্পৃক্ত ও মাদকাসক্ত থেকে দূর করতে এ আয়োজন বলে জানান আয়োজকেরা।
শনিবার দিনব্যাপী আয়োজনে লাঠি খেলার বিভিন্ন কৌশল প্রদর্শন করেন লাঠিয়াল বাহিনী। খেলা শেষে রাতে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে।
লাঠি খেলা, গ্রাম- বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে অন্যতম। মানুষের প্রয়োজন থেকে উদ্ভব হয় এ খেলাটি। একসময় ছিল জনপ্রিয়তার সঙ্গে। মনের খোরাক মেটাতে এখনো এই খেলার কদর কমেনি সাধারণ মানুষের কাছে। তারই প্রমাণ মিলল মাগুরা সদর উপজেলার ঘোড়ানাচ গ্রামে। হাজারো দর্শকের মাঝে লাঠি খেলার বিভিন্ন কৌশল ও শারীরিক কসরত দেখান বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাঠিয়াল বাহিনী। আত্মরক্ষা ও শারীরিক ভারসাম্য রক্ষায় লাঠি খেলার গুরুত্ব দেখানো হয় এই প্রদর্শনে। অন্যান্য খেলার মতোই লাঠি খেলাতে রয়েছে আনন্দ। একত্রে সামনের বিপদকে মোকাবেলা করার দীক্ষাও রয়েছে এই খেলায়। এবারের আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিল ছোট্ট লাঠিয়ালের প্রদর্শন। পুরুষের পাশাপাশি লাঠি খেলায় পারদর্শি হতে পারে তার দৃষ্টান্ত দেখানো হয় ছোট্ট বাচ্চা দের ।
আরও পড়ুন:তিন মাস বিয়ে করা যাবে না, নিষেধাজ্ঞা জারি
লাঠি খেলার সরদার বলেন, শুধু খেলা নয় আত্মরক্ষার জন্যও লাঠি খেলা অন্যতম অনুষঙ্গ হতে পারে। এছাড়া শারীরিক কসরত ভালো হয় লাঠি খেলা অনুশীলনের মাধ্যমে। নতুন প্রজন্মের মাঝে এই খেলা ছড়িয়ে দিতে পারলে নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরি হবে। আবারো পুরো দমে লাঠি খেলার যৌলুস ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি।
এক ছোট্ট বাচ্চা দর্শক বলেন, পূর্বে আমি কখনো লাঠি খেলা দেখিনি, আজ লাঠি খেলা দেখে আমি আনন্দিত। আমার খুব ভালো লাগছে।
আরেক সরদার বলেন , বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর , লাঠি খেলা শুধু পুরুষদের নয় এটি নারীদের জন্যেও। নারীদের এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাহলে নারী খেলোয়াড় তৈরি হবে। এবং তরুণ প্রজন্মকে লাঠি খেলার সাথে সম্পৃক্ত ও মাদকাসক্ত থেকে দূর।