কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
হিমালয়ের নিকটবর্তী দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জেঁকে বসেছে শীত। আজ ১লা অগ্রহায়ণের প্রথম দিন উপজেলার জনপদসহ গ্রাম অঞ্চলে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় বেড়ে যাওয়ার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।হঠাৎ ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হওয়ায় উত্তর জনপদের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করেছে ।
বিশেষ করে সকালে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় শিশু-মধ্য বয়সীদের দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ঘনকুয়াশা থাকায় এ অঞ্চলে দুপর ১২ টার পর সূর্যে আলোর দেখা দিয়েছে।
এ বার অন্য বছর গুলোর চেয়ে আগে ভাগেই বিশেষ করে শরৎ ও মেহন্ত কালে শীতের আগমনি বার্তা দেখা দিলেও গত দুইদিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দিনের বেলা প্রচন্ড গরম থাকলেও রাত থেকে টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশিরের ফোটা। ফলে গত দুই তিন সপ্তাহ থেকে রাতে বেলা ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে হালকা গরম কাপড় ব্যবহার করলেও দুইদিন থেকে পুরোপুরি ভাবে তীব্র শীত ও ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে। সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। সেই সাথে বিপাকে পরেছে শিশু বৃদ্ধসহ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। তীব্র শীত ও ঠান্ডার মাঝেও জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হয়েছেন দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
নওদাবশ এলাকার দিন মজুর ছামাদ ৎ জানান, শনিবার প্রচুর শীত পড়েছে বাহে। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজকে ঠান্ডাও অনেক বেশি। তারপরও কাজে বেড়িয়েছি।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আজ ঘনকুয়াশা অন্য দিনের চেয়ে বেশি পড়েছে। এখন যতই দিন যাচ্ছে ততই শীত ও ঠান্ডা বাড়তে থাকবে। চলতি মাসের শেষের দিক থেকে পুরোপুরি ভাবে ঠান্ডা প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে।