জাকারিয়া শেখ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।
মৌসুমে আলু চাষের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েও হতাশ কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষক।
উপজেলায় চড়া দাম দিয়েও মিলছে না বীজ আলু। এ বছর চাহিদার কারণেই বেশি দামে বীজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় আলুর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। গত বারের লোকসান অনেক চাষিকে সর্বস্বান্ত করে দিলেও তারা আবারো নতুন মৌসুমের শুরুতে নতুন স্বপ্ন নিয়ে আলু চাষ শুরু করছেন।হিমাগার থেকে বীজ উত্তোলন, জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগে অধিক খরচ হওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা।
ফুলবাড়ী উপজেলার সার্বিক অর্থনীতি অনেকটাই কৃষির উপর নির্ভরশীল । উপজেলায় একটানা কয়েক বছর একাধিকবার আলুর বাম্পার ফলনের পরেও বেশী একটা লাভের মুখ দেখেননি কৃষকরা। গত বছরে বাজারে শুরুতে আলুর ব্যাপক দরপতনে মূলধন হারিয়েছেন এ অঞ্চলের অনেক কৃষক। মধ্যস্বত্বভোগী ও মজুদদার ব্যবসায়ীরা বেশী লানভবান হয়েছে। তার পরেও বন্যায় অন্য কোনো ফসল উৎপাদন করতে না পারায় আলুচাষই করতে যাচ্ছেন এ অঞ্চলের অনেক কৃষক।
সরেজমিনে খড়িবাড়ী বাজারে গিয়ে দেখা মেলে আলু চাষী হযরত মিয়ার সঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় ৩ একর জমি বর্গা নিয়ে বীজ আলু কেনার জন্য বাজারে এসেছি, বীজ আলু বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে । এবছর আলুর বীজ, সার, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষে খরচ একটু বেশি পড়বে। প্রতি কেজি আলু ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আবহাওয়া ও বাজার মূল্য যদি ভালো থাকে তবে লাভের আশা করছি।
বীজ আলু বিক্রেতা লক্ষিকান্ত বলেন, বন্যার ঘাটতি পুষে নিতে এ বছর চরাঞ্চলে আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। ক্রয়মুল্য বেশী হওয়ায় বাজারে চড়া দামে বীজ আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সেকেন্দার কোল্ড স্টোরের মালিক সেকেন্দার আলী বলে, গত বছরের তুলনায় এ বছর চাষিদের আলু চাষে আগ্রহ বেড়েছে। সে তুলনায় আলু বীজের যোগান কম।চাহিদার সাথে বীজ সংরক্ষণ কম থাকায় আলু চাষিদের বীজ সংকট হতে পারে বলে জানান তিনি।
এপ্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ১ শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।চলতি মৌসুমে রোমানা, এস্টেরিক, কার্ডিনাল, উফশি, সানসাইন ছাড়াও দেশীয় জাতের আলু চাষ হচ্ছে।