এস এম শিমুল রানা, মাগুরা প্রতিনিধি।।
জন্ম থেকেই নেই পায়ে হেঁটে চলার সক্ষমতা। অন্য আর দশটা সাধারণ মানুষের জীবনের মতো হতে পারতো একটি সাধারণ জীবন। তবে শারীরিক যে প্রতিবন্ধকতা তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মাগুরা উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের ইছাখাদা গ্রামের মিন্টু মোল্লা ক্ষেত্রে। তার অদম্য ইচ্ছে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস তাকে সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছে সব সময়। তাইতো প্রতিবন্ধকতার কাছে হার না মেনে হাতে তুলে নিয়েছেন পাঁচ সদস্যর পরিবারের। সংসারে রয়েছে তিন ছেলে মেয়ে । বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এত কিছুর পরেও সে মাগুরা শহরের এম আর রোডের সরকারী কলেজের সামনে পেয়ারা বিক্রি করে সাংসার চালান ।
তিনি এর আগেও ৩০ বছর চায়ের দোকানদারি করেছেন । তারপরে যেন হঠাৎ করে জীবনে নেমে এলো ঝড় আর সেই ঝড়ে ভেঙ্গে গেল সবকিছু। নেমে গেল রাস্তায়, এভাবে চলতেন তার জীবন। পরে ভাবলেন তিনি পেয়ারার ব্যবসা করবেন। এরপর থেকেই তিনি পেয়ারের ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন যাইতে না যাইতেই তার জীবনে নেমে এসেছে আবার ঝড় , ছোট্ট মেয়ে চার বছর বয়স সে যেন এখন অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে আছেন। টাকার অভাবে করতে পারতেছে না চিকিৎসা । মিন্টু মোল্লা বলেন আমি জীবনের কারো কাছে হাত পাতিনি , আজ আমি বাধ্য হয়ে হাত খাচ্ছি ।
মাগুরা শহরের বই ব্যবসায়ী লিটন ঘোগ বলেন কষ্ট দেখে তার বসার জন্য আমার দোকানের সামনে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এই মিন্টু মোল্লা জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী, ভিক্ষাবৃত্তি না করেও চেষ্টা করি সৎ ভাবে ব্যবসা করি জীবন জীবিকা করি। দিনে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আয় করেন।
তিনি এই স্বল্প আয়ে সংসার চলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ৪৫ বছর বয়সী এই প্রতিবন্ধী মিন্টু মোল্লা । সংসারে তার দুই মেয়ে, এক ছেলে স্ত্রীসহ ৫ জনের সংসার। সমাজের আট-দশজনের মতো তিনি স্বাভাবিকভাবে চলেত পারের না। তার দুটি পা অচল, অনেক কষ্ট করে পথ চলতে হয়। কিন্তু অন্যের দয়ায় কখনো চলেন না, সুস্থ মানুষের মতো মিন্টু চলার চেষ্টা করেন।
জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী, ভিক্ষাবৃত্তি না করেও চেষ্টা করি সৎ ভাবে ব্যবসা করি জীবন জীবিকা করি। দিনে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আয় করেন। তিনি এই স্বল্প আয়ে সংসার চলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ৪৫ বছর বয়সী এই প্রতিবন্ধী মিন্টু মোল্লা । সংসারে তার দুই মেয়ে, এক ছেলে স্ত্রীসহ ৫ জনের সংসার। সমাজের আট-দশজনের মতো তিনি স্বাভাবিকভাবে চলেত পারের না। তার দুটি পা অচল, অনেক কষ্ট করে পথ চলতে হয়। কিন্তু অন্যের দয়ায় কখনো চলেন না, সুস্থ মানুষের মতো মিন্টু চলার চেষ্টা করেন।
মিন্টু মোল্লার সাথে কথা বলে জানা যায় , পুজি স্বল্পতার কারণে ব্যবসা বড় করতে পারিনা। অনেকে আমাকে ভিক্ষা করতে বললেও আমার কাজ করতে ভালো লাগে । ছোট বেলায় মায়ের জমানো টাকা দিয়ে এ পেশায় আসি। সমাজের বৃত্তবানদের সহায়তায় আমার একটা স্থায়ী দোকান হলে ভালো হতো।