বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মাথায় অস্ত্রোপচারের পর বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিএমএইচ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
মো. আব্দুল্লাহ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক কাজী সাইফুল ইসলাম।
তিন ভাই, এক বোন(বিবাহিত) ও বাবা-মাকে নিয়ে তাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার । নিহত আব্দুল্লাহ’র বাড়ি যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোলে।
এর আগে গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ৫ই আগস্ট সন্ধ্যার পরে রাজধানীর তাতীবাজার বংশাল থানার সামনে থেকে পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর শর্টগানের গুলি লাগে এবং সেখানে গর্ত হয়ে যায়। অল্পের জন্য ব্রেইন রক্ষা পায়। পরে সেখানেই দুই থেকে তিন ঘণ্টা পড়ে থাকেন আব্দুল্লাহ । সেখান থেকে প্রথমে মিটফোর্ড ও পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢামেকে রাত ৩ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত অপারেশন শেষে ডাক্তাররা সাময়িক সুস্থতার জন্য আশ্বস্ত করেন।
আরও পড়ুন:নিউ লাইফ ব্লাড ব্যাংকের পক্ষে ‘ইউএনও’কে ফুলেল শুভেচ্ছা
পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি না পেয়ে ২২ আগস্ট বাংলাদেশ নেভির সহযোগিতায় তাকে সিএমএইসে স্থানান্তরিত করা হয় । ইন্টারনাল ব্লিডিং এর কারণে মাথায় ইনফেকশন হয়েছে বলে ডাক্তাররা জানান। অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে গত তিন মাস সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে) নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেও বাঁচানো যায়নি মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে।