Homeজেলাকুড়িগ্রাম সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির মাইকিং

কুড়িগ্রাম সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির মাইকিং

জাকা‌রিয়া শেখ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।

কুড়িগ্রাম সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তবাসীদের মাঝে জনসচেতন মূলক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক, গরু পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে বিজিবি। সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের উদ্যোগে সীমান্তে বসবসরত সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে এসব প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি।

বিজিবির পক্ষ একটি মাইকিং জানাচ্ছেন, আপনারা কোন ক্রমেই সীমান্তের শুন্য লাইন অতিক্রম করবে না।সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে গবাদি পশু চড়াবেন না। রাতের বেলায় সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনভাবেই প্রবেশ করবেন না। আপনারা কেউয়ে চোরাচালান কাজে, নিজেকে জড়াবেন না। কাউকে সহযোগিতাও করবেন না। চোরাচালানের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কৃষিকাজ শেষ করে বিকাল ৫ টার মধ্যে বাড়ীতে ফেরত আসতে হবে। সন্ধ্যার পর কেউ সীমান্ত এলাকায় বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করবেন না।
রাত ১০টার মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকার সকল দোকান পাট বন্ধ রাখতে হবে। রাত ১০টার পর সীমান্ত এলাকায় কাউকে ঘোরা ঘুরি করতে দেখলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সীমান্তের শুন্য লাইন অতিক্রম করা আইন লঙ্ঘন। ফলে কেউ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে শুন্য লাইন অতিক্রমের ফলে সীমান্ত হত্যার মতো দুঃখজনক ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে, যা আমাদের কখনোও কাম্য নয়। বিধায় আপনারা নিজ ও পরিবারের রক্ষার্থে শুণ্য লাইন অতিক্রম থেকে বিরত থাকুন এবং চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

ভাবেই মাইকিং করতে দেখা গেছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। কোন বাংলাদেশী নাগরিক সীমান্তের জিরোলাইনে ঘোরাঘুরি করলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নির্মম ভাবে গুলি চালাতে পারে, এমন ধারণায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্তের সাধারণ মানুষদের মাইকিং জনসচেতনতা মূলক প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছেন।

জেলা সীমান্তবর্তী বালারহাট বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কাসেম, বিডিআর বাজারের ব্যবসায়ী বিকাশ চন্দ্র রায় ও বাদশা বাজারের বাদশা মিয়া জানান, ১১ নভেম্বর সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সীমান্তবর্তী বাজারসহ সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সতর্কমূলক মাইকিং করেছে। রাত ১০ টার পর সমস্ত দোকান পাঠ বন্ধ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্তঘেষা গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মন্ডল ও সীমান্তঘেষা গজেরকুটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সীমান্তবাসীদের মাঝে মাইকিং করা হচ্ছে। রাত ১০ টার পর সীমান্তে সব দোকান পাট বন্ধ, সন্ধ্যার জিরো লাইনে অপ্রয়োজনীয় ভাবে ঘোরাঘুরি, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির মাইকিং করে সীমান্তে যেতে নিষেধ করেছে। আমাদেরকেও বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী মানুষদের সচেতন করতে বলেছে। বিজিবির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এই দুই জনপ্রতিনিধি।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধীন শিমুলবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জানান, কোন বাংলাদেশি যাতে ভুল করে সীমান্তে শূন্য লাইন অতিক্রম না করে। সেই সাথে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাচালান প্রতিরোধে এবং সীমান্ত এলাকা শান্তি ও সুরক্ষিত রাখতে সীমান্তে বসবাসরত সাধারণ মানুষদের সচেতন মুলক মাইকিং করা হচ্ছে। দুই এক দিন পর আমাদের মাইকিং করে জনসচেতনতা মূলক প্রচার অব্যাহত থাকবে এবং বিজিবির টহল সীমান্তে ২৪ ঘন্টা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ খবর