কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের নদী থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) চাড়ালকাটা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মরদেহটি লিশাত ইসলাম নামে এক যুবকের। সে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশা মিয়া পাড়া গ্রামের মবেদুল ইসলামের পুত্র। এ বছর কিশোরগঞ্জ বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তর্ীণ হয়ে ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়- আজ মঙ্গলবার সকালে নিতাই ইউনিয়নের চাড়ালকাটা নদী দিয়ে পার হয়ে পার্শ্ববতী গ্রামে যাওয়ার সময় লোকজন নদীর পানিতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটির মুখ এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেয়া। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিতাই ইউনিয়নের বেলতলি গ্রামের আব্দুল হাই এর পুত্র গোলাম রব্বানী (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে।
তার বাবা মবেদুল ইসলাম জানান- আমার ছেলে মুশা বটতলা ওয়াজ শুনার জন্য ভাত খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে আর বাড়ীতে ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ লোকমুখে শুনে সেখানে গিয়ে দেখি যে মরদেহটি আমার ছেলে লিশাদের।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুছ জানান- ঘটনার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন- নদী থেকে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার মরদেহ নদীতে তিন থেকে চারদিন ছিলো। ওই এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোলাম রব্বানী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া চলছে।