মোঃ আশরাফুল (কয়রা প্রতিনিধি)
খুলনা কয়রা উপজেলায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডে আলোচিত সেই শিক্ষক ও শিক্ষীকাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে মাদ্রসা গভর্নিং বডি।
তারা হলেন সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও কৃষি বিভাগের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী আক্তার।
গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) এক জরুরি মিটিং শেষে মাদ্রাসা গভর্নিং বডি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষিকার অনৈতিক কাজে তারা ২ অক্টোবর রাতে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়।এ বিষয়ে মাদ্রাসা গভর্নিং বডি ৪ নভেম্বর একটি জরুরি মিটিং ডেকে গভর্নিং বডির সকল সদস্যদের সম্মতিতে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়রা সিদ্দীকিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার বাংলা শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সাথে ওই মাদ্রাসার কৃষি বিভাগের সহকারী শিক্ষিকা মাওয়াজ শেখের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী শিউলি আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। ইতিপূর্বে তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক জানাজানি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বসে বিষয়টি নিরসন করেন। তাদেরকে বারবার সতর্ক করার পরেও তারা সেটা ভ্রুক্ষেপ করেনি। গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে কয়রার মদিনাবাদ গ্রাম থেকে স্থানীয় কিছু যুবক ওই শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও শিক্ষিকা শিউলির বাড়ির পেছনের বাগান থেকে অনৈতিক অবস্থায় তাদেরকে আটক করে কয়রা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন:ফুলবাড়ীতে সৈয়দ শামসুল হক শিশুসাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের সময় আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওতে স্থানীয় যুবকরা শিক্ষীকা শিউলি আক্তারের কাছে তাদের সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইফুল আমার চাচাতো ভাই আমরা খারাপ কিছু করিনি, সে আজ আমাদের বাড়িতে থাকবে বলে এসেছে।
জানা যায়, শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে দৌলতপুর থানায়। তিনি এনটি আরসি নিয়োগে ২০২২ সালে কয়রা সিদ্দীকিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন। সেই থেকে কয়রা সদরের একটা ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। সর্বশেষ এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর কয়রা থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতে পাঠালে আদালত থেকে তারা জামিন নিয়েছেন।