অন্তর্বর্তী সরকার এবং মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করে আসছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভিন্নমত দমনের জন্য অনেককে গুম করে বিনা বিচারে গোপন বন্দিশালায় আটকে রাখা হত। ওই বন্দিশালার প্রতীকী নাম ‘আয়না ঘর’।
ভিন্নমত দমনে ‘আয়না ঘরে’ বন্দী রাখার বিষয়ে এক প্রশ্নে এর অস্তিত্ব থাকার বিষয় স্বীকার বা অস্বীকার না করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, “আওয়ামী লীগের পর এখন তো সরকার ক্ষমতায় প্রায় তিন মাস, তো আয়না ঘরটা দেখাক কোথায়?
“এই সরকারের র্যাব প্রধান বলেছে, ‘আয়না ঘরের’ কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তো আয়না ঘর, আয়না ঘর…”
বাংলাদেশে ২৬ লাখ ভারতীয় থাকা নিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথিত বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তার কাছে আমার প্রশ্ন ২৬ লক্ষ ভারতীয় কই? আয়না ঘরটা কই? তিনিতা আইন উপদেষ্টা সেটি একটু জনগণকে দেখাক।”
ব্যক্তিগতভাবে কখনও প্রতিহিংসামূলক আচরণের পক্ষপাতী নন, তার দলও কখনোই প্রতিহিংসামূলক আচরণের পক্ষপাতী নয় দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশকে থেকে চিরতরের জন্য অস্বীকারের রাজনীতি, দ্বান্দ্বিক রাজনীতি, ঘৃণার রাজনীতি বিদায় হওয়া উচিত। দেশে একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হোক।
“নির্বাচন হবে, নির্বাচন হওয়ার পরে যারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সরকার গঠন করবে, যারা বিরোধী দলে থাকবে গঠনমূলক সমালোচনা হবে। এভাবে আবার বিরোধী দল সরকারে গেলেও একই ধারা থাকবে। এটাই হওয়া উচিত।”