শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই জন সাবেক সংসদ সদস্যসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নতুন করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের ১৪৭ জন এবং আরও অনেক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা গ্রামের রিফাত সরকার (২২) শেরপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এর পরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম (৫২), একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক (৪৮), পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম (৫২), খন্দোকারটোলা এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৫) ও গড়েরবাড়ি এলাকার আবুল কালাম আজাদ (৫৪)।
থানা পুলিশ ও দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই শেরপুরে ঢাকা বগুড়া মহাসড়কে মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। মিছিলটি পৌরশহরের ধুনটমোড় এলাকায় পৌঁছলে সাবেক দুই সংসদ সদস্যের নির্দেশে অন্য আসামীরা মিছলে আগ্নেয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এতে মামলার বাদি রিফাত সরকার গুলিবিদ্ধ ও অনেকে আহত হন। রিফাত সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিএনপির মিছিলে হামলা ও দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান ও মজিবর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও দণ্ডবিধি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির শেরপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু দায়ের করা ওই মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ১৪১ জন নেতা কর্মীদের আসামি করা হয়।
মামলার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া জেলার প্রধান সমন্বয়ক সাবিক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা যতদূর জানি রিফাত সরকার মূলত ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু তিনি বিভিন্ন স্থানে সমন্বয়কের পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলা দায়ের করেছন যেখানে নিরাপরাধ ব্যক্তিদেরও হয়রানীর শিকার হওয়ার সুযোগ আছে। তাই আমরা এই মামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
আরও পড়ুন:লক্ষ্মীপুর আইডিয়াল আলিম মাদরাসার এক যুগ পূর্তি ৪০ জন কোরআনের হাফেজকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান
এই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে বাদীর লিখিত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে বিস্ফোরক দ্রব্য ও দন্ডবিধির আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোররাতে বিশেষ অভিযানে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের বগুড়ার কারাগারে পাঠানোর হবে।