মোঃ ওমর ফারুক (নাগেশ্বরী প্রতিনিধি)
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার উপজেলা পরিষদ মুক্ত মঞ্চে ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল তিন ঘটিকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাগেশ্বরী শাখার ডাকে বিগত ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের তান্ডবে লগি বৈঠার মাধ্যমে জনতাকে পিটিয়ে মেরে লাসের উপর আনন্দ উল্লাস সহ বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন ও হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং সর্বশেষ জুলাই গনহত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে এক বিশাল গনজমায়েত ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও নাগেশ্বরী পৌরসভা থেকে প্রায় তিন/চার হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত হন।
সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা থেকে আগত নেতা কর্মীদের মাঝে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ, এর অঙ্গসংগঠন এবং রদের দোসরদের বিগত ১৬ বছরের অপকর্ম হত্যা গুম খুন অর্থ লুটপাট এর জন্য আওয়ামীলীগ সহ এর মদদদাতাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর কুড়িগ্রাম জেলা আমীর সহ অন্য নেতারা ও নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার আমীর সহ অন্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। জেলা আমীর সহ সকল বক্তাগন তাদের বক্তব্যে বিগত খুনি আওয়ামী সরকারের সভানেতৃ সন্ত্রাসী খুনি শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন ভারত থেকে খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিগত সময়ের সকল অন্যায় অবিচার অপরাধ গুম খুন ও গনহত্যার দায়ে বিচার করতে হবে।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জে চার থাই জুয়াড়ি গ্রেফতার
সেই সাথে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনাকে যারা সহযোগীতা করে বিগত ১৬ বছর ধরে দেশটাকে শোষন করে গুম খুন অর্থ পাচারের সর্গরাজ্যে পরিনত করেছে তাদেরকেও গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে নয়তো তারা আবার সংগঠিত হয়ে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে বলে অন্তর্বতী সরকারকে সতর্ক করেন। বক্তারা নেতা কর্মীদের সজাগ থাকতে বলেন যাতে কোনোভাবেই স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ ও তার দোসররা আবারও কোনোভাবে সংগঠিত হয়ে নাশকতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। সমাবেশের সমাপনি বক্তব্যে আবারও এই পতিত পলাতক শেখ হাসিনা ও আওয়ামী স্বৈরাচারদের হাত থেকে দেশকে সুরক্ষার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করে সমাবেশ শেষ করেন।