কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যায় উন্নিতকরন ভবনের নির্মান কাজ দুই বছর হল শেষ হয়েছে। উদ্বোধন করার ১১ মাস পার হলেও খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা। এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কাগজে কলমে শয্যা সংখ্যা বাড়লেও সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। লোকবল ও প্রশাসনিক অনুমতি না থাকায় কার্যক্রম হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন,ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,১৯৮৩ সালের ২২ মে ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এরপর রোগীর চাপ ও কার্যক্রম ভাল হওয়ায়,পরে তা ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। এভাবে চলে দীর্ঘ ৩০ বছর।
এরপর গত ২০২২ সালে নির্মিত হয় ১০০ শর্য্যায় উন্নিতকরনের নতুন ভবন। ভবনটি ২০২৩ সালের ২৫ শে অক্টোবর উদ্ভোধন করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। সে থেকে চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি নতুন ভবনে স্বল্প পরিসরে দন্ত ও চোখের চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ রমিজ উদ্দিন ( তপু)। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শর্য্যায় উন্নিত হলেও লোকবল রয়েছে সেই ৫০ শর্য্যার। ১শ শর্য্যা চালানোর লোকবল নাই। নাই প্রশাসনিক অনুমোদনও। এ কারনে ১০০ শর্য্যা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।তিনি আরো বলেন,এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ১১৫/১২৫ জন রোগী ভর্তি থাকে। ওই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হয় আমাদের আগের ৫০ শর্য্যার লোকবল দিয়ে। এরপরও রোগীর চাপ বেড়ে গেলে পুরাতন ভবনের বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এ বাড়তি চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয় রীতিমত। রমিজ উদ্দিন বলেন,আমি তো ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে আছি। তবে জানতে পারলাম এ সব নিয়ে উপরে লেখা হয়েছে বেশ কয়েক বার। তবে কবে নাগাদ সম্পূর্ণ ভাবে চালু করা যাবে তা এখনই বলা সম্ভব না।
আরও পড়ুন:কুড়িগ্রামে প্রতারণা করতে গিয়ে নারী প্রতারক ধরা
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন হাদী জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু করার প্রশাসনিক অনুমোদন আছে। তবে জনবলের অনুমোদন নাই। আর জনবল না থাকলে তো চালানো সম্ভব না। কবে নাগাদ চালু হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,বর্তমান অবস্থা তো দেখছেন। আর এটা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় পাওয়ার পরও কিছু প্রোসেস আছে। সব কিছু মিলে কবে নাগাদ এর সমস্যার সমাধান হবে তা এখনই বলা সম্ভব না।