“বহুল আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙে লিটন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ।
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে কারাগার থেকে বের হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম বলেন, উচ্চ আদালত থেকে রায়ের কপি যশোর আদালতের মাধ্যমে সোমবার কারাগারে আসে। এদিনই দুপুরে জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বের হয়ে যান।”
কারাগার, থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় লিটনের ১০ বছর সাজা হয়। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। অস্ত্র, হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ২০ থেকে ২২টি মামলা মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন তিনি বিদেশে পলাতক ছিলেন।
জানা গেছে, এ সময় তিনি ভারত, নেপাল, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেছেন। দেশের বাইরে থাকলেও যশোরের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম ছিলেন ‘ফিঙে লিটন’। দেশের বাইরে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতেন যশোরের নানা সিন্ডিকেট। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি ও একাধিক খুনের ঘটনায় ‘ফিঙে লিটন’র নাম জড়িয়েছে তার অনুসারীরা।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বদলে গেছে রাজনৈতিক দৃশ্যপট। এই সুযোগে দীর্ঘদিন পর দেশে আসেন লিটন। গত ৪ সেপ্টেম্বর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিনের আদালতে অস্ত্র মামলায় আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। ফলে ৫৩ দিন সাজাভোগ করে সোমবার কারামুক্ত হন যশোরের আলোচিত এই সন্ত্রাসী।