Homeজেলাবৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ন্যায্য মূল্যের দোকান

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ন্যায্য মূল্যের দোকান

নাজমুস সাকিব, ঝিনাইদহ।।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে পণ্য কিনে খুশি ক্রেতারা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) শহরের পুরাতন গোহাটা মসজিদ সংলগ্ন দোকানে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। দোকানটি সকাল ৯টায় শুরু করা হয়।

জানা যায়, ন্যায্য মূলের এ দোকানে আমদানি করা পেঁয়াজ ১২০ টাকা, দেশি রসুন ২২০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা কেজি, প্রতিপিস লাউ ৪০ টাকা, কাঁচা ঝাল ১১৫ টাকা, কলা ৪০ টাকা, আমড়া ২৫ টাকা, ভেন্ডি (ঢেড়স) ৪৫ টাকা, বেগুন ৬৫ টাকা, পুঁইশাক প্রতি আটি ২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, মিট পুল্লা ৩৫ টাকা, পেয়ারা ৩৫ টাকা, করলা ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি সিম ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। যা খুচরা বাজারের মূল্যের অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।

কলেজ পাড়ার গৃহিণী রুপালী বেগম বলেন, বিনা লাভের দোকানের খবর পেয়ে দেখতে আসি। দামও সাশ্রয়ী, যা বাজারদর থেকে অনেক কম।

থানা রোডের চাকরিজীবী বাসিন্দা জাহিদ হোসেন বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচ ৭০-৭৫ টাকা পোয়া। আর এখান থেকে ৬০ টাকায় পেলাম। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে বিনা লাভে বিক্রি হচ্ছে এটা চলমান রাখতে পারলে জনসাধারণ উপকৃত হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের মাহফুজুর রহমান ঈশান বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা জনতার পাশে থাকতে কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে ওই দরেই বিক্রি করছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক হুসাইন মাহমুদ বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এই বিনা লাভের দোকানে সময় দেওয়ার একটাই কারণ, তা হলো জনমনে স্বস্তি ফেরানো। আর এই স্বস্তি আনা সম্ভব বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। যা সফল করতে হলে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা জরুরি। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলার পক্ষ থেকে এই কাজটি করতে তৎপর রয়েছি।

Exit mobile version