মাসুদ সরকার ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
ইসলাম ধর্ম প্রচারে বাংলাদেশে প্রথম মসজিদ নির্মাণ নওগাঁর ধামইরহাটের মাহিশন্তোষ, বঙ্গ দেশে ইসলামের আগমন ও ধর্ম প্রচার কেন্দ্র ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত।
বরেন্দ্র ভুমির ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষক ও লেখক প্রভাষক মো. আব্দুর রাজ্জাক (রাজু) স্যার মাহিশন্তোষ সম্পর্কে জানান, নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় মাহিষন্তোষে বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ নির্মাণ ধর্ম প্রচার কেন্দ্র ও তৎকালীন প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, কৃষি, সংস্কৃতি ও ইসলামের মহামুল্যবান বাণী প্রচারে বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিলো মাহিসন্তোষ। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম যুগে তৈরী মসজিদগুলি ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিকাশে বিশেষ ভুমিকা পালন করতো। মসজিদের মধ্যে মক্তব স্থাপন করে মুসলমান শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হতো। কোরআন, হাদিসের প্রাথমিক পাঠ এবং আরবি ফারসি ভাষায় হাতেখড়ি হতো এই সকল মসজিদে। বলা বাহুল্য মাহিষন্তোষের মসজিদ গুলিও ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিস্তারে একই ধরণের ভুমিকা রাখত। অর্থনৈতিক, শিক্ষা, কৃষি সংস্কৃতি ও ইসলামের মহামুল্যবান বাণী প্রচারে বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিলো (ভারতের যাদুঘরে পৃঃ ১৯) মসজিদের মুল অবকাঠামো আবিষ্কার।
আরও পড়ুন:কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে আযানরত অবস্থায় মুয়াজ্জিনের মৃত্যু।
ডা. ইয়াকুব আলী ও এবি এম হোসেনের মতে- এখানে একটি বড় ধরণের মসজিদ আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাচীন এই মসজিদটি সমতল ভুমি থেকে ৩-৪ ফুট উঁচু অস্তিত্ব নিয়ে এখনো অনেকাংশ টিকে আছে। একে বারদুয়ারি মসজিদ নামে অভিহিত করা হয়েছে। আকার ও বৈশিষ্ট্য উন্মোচন এই প্রাচীন মসজিদটি উত্তর দক্ষিনে লম্বা আয়তকার এর অভ্যন্তর ভাগের দৈর্ঘ্য ছিলো ৬৬ ফুট এবং প্রস্ত ছিল যথাক্রমে ৩৯ ফুট। ৭ ফুট প্রসস্থ দেওয়ালের সঙ্গে যুক্ত করলে মসজিদটির বর্হিমাপ দাঁড়ায় ৮০×৫৪ ফুট। এর পূর্ব দেওয়ালে পাঁচটি এবং উত্তর ও দক্ষিন দেওয়ালে তিনটি করে দরজা ছিলো। মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে সমান দুরত্বে পাথর দিয়ে নির্মিত পাঁচটি মেহবার ছিলো। অপূর্ব শিল্প শৈলীর একটি মেহবার বরেন্দ্র যাদুঘরে নিয়ে গিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান বরেন্দ্র ভুমির ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ে গবেষক ও লেখক অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক (রাজু)।