মোঃ আশরাফুল, কয়রা প্রতিনিধি।।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে, বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের দশহালিয়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারের পুরানো মসজিদের সামনের বেড়িবাঁধের ২৫০ মিটার অংশ নদে ধসে পড়ে। ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন গ্রামসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ। দ্রুত ভাঙনরোধে অবিলম্বে পাউবোর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার একর আমনের খেতসহ অসংখ্য মাছের ঘের নদের লোনা পানিতে ডুবে যাওয়ায় আশঙ্কা করছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় গিয়েই দেখি পুরানো মসজিদের পাশে বেঁড়িবাধ রাতে হটাৎ ধসে গেছে। কিভাবে ভয়াবহ ভাঙ্গন লাগল কিছু বুঝতে পারলাম না।
কথাগুলো বলেছেন, উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া গ্রামের মাওলানা আকবার হোসেন।
শুক্রবার সকালে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঐ স্থানের বেড়িবাঁধ হঠাৎ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। দুই এক হাত ছাড়া অন্য বাঁধ নদীতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে ঐ স্থান ভেঙে গিয়ে দশহালিয়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর, আটরা, সিমলারআইট, মেঘেরআইট, কালনা, লোকাসহ আরও অনেক গ্রাম লোনা পানিতে প্লাবিত হবে। এতে করে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পান্দিবন্দিসহ চলতি আমন মৌসুমের ধান এবং অসংখ্য মৎস্য ঘের ক্ষতি হবে। এ ছাড়া দশহালিয়া গ্রামের দক্ষিনপাশের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানেও কাজ করা জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পাউবোর তত্ত্বাবধানে সেখানে ভাঙনরোধে কাজ করা চলছে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, দশহালিয়ায় আমাদের প্রতিনিধি রয়েছে। সেখানে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এর আগে রিমালের তাণ্ডবলীলায় ঐ ভাঙনের পাশে দশহালিয়া বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। বাঁধ সংস্কারের পর মানুষ একটু ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। এমন সময় আবারও ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের।