ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ঠিক কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো তথ্য জানায়নি। এমন অবস্থায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, রাজধানী নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেট ও খান মার্কেটের কাছেই একটি বাংলোতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। অত্যন্ত সুরক্ষিত সেই বাংলোতে আছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগেরদিন বৃহস্পতিবার ভারতের আরেক গণমাধ্যম দ্য প্রিন্ট জানিয়েছিল, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লুটিয়েনস বাংলো জোনের একটি সুরক্ষিত বাড়িতে অবস্থান করছে হাসিনা। নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে মাঝেমধ্যে লোধি গার্ডেনে হাঁটতে বের হন তিনি। তবে শেখ হাসিনার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে উল্লেখিত সেই বাংলোর নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রকাশ করেনি ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যম দুটি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ওই বাংলোতে বেশ কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছেন। কারণ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন নৃশংসতার পাশাপাশি গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগসহ বহু মানুষের মৃত্যুর হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে শেখ হাসিনা হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে তিনি দিল্লির লুটিয়েনস বাংলোতে দিল্লিতে বসবাস করছেন। এর আগে গত মাসে ফিনান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তাকে (হাসিনাকে) লোধি গার্ডেনে দেখা গেছে।
ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, শেখ হাসিনার নতুন এই বাসভবনটি আসলে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ‘ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি)’ একটি সেফহাউস। তবে হাসিনার জীবনের প্রতি হুমকির কথা উল্লেখ করে তারা এই বাসভবনের সঠিক অবস্থান প্রকাশ না করতে বলেছেন।