ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।
ঘুর্ণিঝড় ‘ডানা’ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা করেছে এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ মোকাবেলায় Standing Orders on Disaster (SOD) অনুযায়ী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকরা।
এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার জেলা প্রশাসকরা স্ব-স্ব সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকদের। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আগাম যেসব কার্যক্রম নেওয়া দরকার সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ডানা আরো পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.৭০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কি.মি. দক্ষিণ- দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪০ কিমি. দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কি.মি. দক্ষিণ- দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরো পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনকে ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।