Homeসর্বশেষ সংবাদফুলবাড়ীতে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

জাকা‌রিয়া শেখ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।

কুড়িগ্রামে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত আশিক হত্যা মামলায় কুড়িগ্রামের সুনামধন্য ৩ সাংবাদিককে অন্তর্ভূক্তের প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে ফুলবাড়ীর সাংবাদিকদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ মজনু, নুরনবী মিয়া, সাধারণ শিক্ষার্থী, আরিফুল ইসলাম, লিমন মিয়া, মেহেদী হাসান ও আতিক হাসান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ৪ আগস্ট তৎকালীন সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দের দ্বারা সাংবাদিকরা কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবসহ ঘোষপাড়ায় অবরুদ্ধ ও পৌর বাজারে হামলার শিকার হন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা করেন। এমন কি কয়েকজন সাংবাদিকের সন্তান ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলো। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের তিন সাংবাদিকের নামে পুলিশ কোনো তদন্ত না করেই ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি গ্রহণ করেন। তাই অতিদ্রুত কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের তিন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোড় দাবী জানান বক্তারা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন।

সমাবেশে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সূর্য ও সদস্য ইউসুফ আলমগীরের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান সাংবদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ এনে ৩ সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের করেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের রহুল আমির নামের এক শিক্ষার্থী। এ মামলায় ১০৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, কালের কণ্ঠ ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক ছাড়াও নিউজ২৪ টিভি ও দৈনিক সংবাদের কুড়িগ্রাম প্রতিনধি হুমায়ুন কবির সূর্য এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ইউসুফ আলমগীর।

Exit mobile version