মিঠুন গোস্বামী, কুষ্টিয়া থেকে
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের আধ্যাত্মিক এ বাণীকে ধারণ করে তার ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আখড়াবাড়ীতে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে আখড়াবাড়ীর মূল মঞ্চে আলোচনা সভার মাধ্যমে এ স্মরণোৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা: শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো: হেলাল মাহামুদ শরিফ আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এবারও পথপ্রদর্শক লালনকে স্মরণ এবং অবাধ্য মনকে শুদ্ধ করতে দেশ-বিদেশের হাজারো লালন অনুসারী, ভক্ত-অনুরাগী আর দর্শনার্থী আখড়াবাড়ীতে অবস্থান নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:কমলাকে সমর্থন দিয়ে লেবানিজ আমেরিকানদের চিঠি
লালনের রীতি অনুযায়ী পহেলা কার্তিক সন্ধ্যায় অধিবাস, পরদিন দুই কার্তিক সকালে বাল্য ও দুপুরে পূর্ণ সেবার মধ্যদিয়ে সাধুসঙ্গ শেষ হওয়ায় শুক্রবার বিকেলেই অনেক লালন অনুসারী অতৃপ্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আখড়াবাড়ী ছেড়ে গেছেন। বাকিরা শনিবার সকাল থেকে গুরুকার্য শেষ করে লালনের তীর্থধাম ছাড়াতে শুরু করে।
১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর এ স্মরণোৎসব পালন করে আসছেন তার অনুসারীরা।