ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন নতুন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তার মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, হামাস নেতার মৃত্যু প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে থামাতে পারবে না। হামাস বেঁচে থাকবে।সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর ঘোষণা দিয়ে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্স জানায়, অন্যান্য দিনের মতোই বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলের তাল আল সুলতান এলাকায় টহলে বের হয়েছিলেন ইসরাইলি সেনারা। এ সময় তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হত্যা করে সেদিনকার মতো ফেরত যান সেনারা।
পরদিন সকালে নিহতদের পরীক্ষা করতে এলে তাদের একজনের সঙ্গে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মিল খুঁজে পান তারা। পরিচয় নিশ্চিত করতে তার দেহের একটি নমুনা পাঠানো হয় ইসরাইলে। পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত করে তার মৃতদেহ ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারির দাবি, পরিচয় না জেনেই হত্যা করা হয়েছে সিনওয়ারকে। ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল না। ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দালানে আহত অবস্থায় বসে ছিলেন তিনি। তবে তার অবস্থান নিশ্চিত করতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজ করছিল তাদের ইন্টেলিজেন্স টিম। অর্থাৎ সিনওয়ার যে রাফার কোনো জায়গায় গোপনে আছেন, সে বিষয়ে ধারণা ছিল না ইসরাইলি বাহিনীর।
সিনওয়ার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাসও। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল হায়া বলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন।
সিনওয়ারকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন,
তার মৃত্যু নিঃসন্দেহে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর জন্য বেদনাদায়ক। তবে এই প্রতিরোধ ফ্রন্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে অগ্রসর হওয়া বন্ধ করেনি। হামাস বেঁচে আছে এবং বেঁচে থাকবে।
ইরানের কর্মকর্তারা এবং মিত্র গোষ্ঠীগুলো নিজেদের ‘প্রতিরোধ অক্ষ বা গোষ্ঠী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংগঠিত জোট।