যারা অন্যায় করেছেন এবং শেখ হাসিনার কট্টর সমর্থক ছিলেন তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বাংলাদেশ)।শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে একথা জানান এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজাকে আমরা আবারও বলেছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ ১৮ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা সবাইকে ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, জামায়াতকে তো ফাঁসি দিয়েছেন, এবার আওয়ামী লীগকে ফাঁসি দেন।
২০১৮ সালে রাতের ভোটের নির্বাচনের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদেরকে সরকার থেকে বের করে দেয়ারও দাবি জানিয়েছে এলডিপি।
অলি আহমদ বলেন, আমরা সরকারকে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে বলেছি। যা যা করতে হয়, কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘরটা আগে বানাই। নির্বাচন করে করবেন কী, যদি সব চোর থেকে যায়। সংস্কারের পর নির্বাচন করতে হবে।
এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের নেতৃত্বাধীন এলডিপির প্রতিনিধি দলটি।
এর আগে সংলাপে বসতে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যমুনায় প্রবেশ করে গণফোরামের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দলটি আধা ঘণ্টার সংলাপ করে।
একইদিন আরও পাঁচটি দল ও জোট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসার কথা। এগুলো হলো: লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল।