মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি নওগাঁর ধামইরহাটেপ্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে ৩ জন গুরুত্বর জখম হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় জখমীরা ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার চকমহেশ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জখমী ছমির উদ্দিন জানান, তার বাবা বছির উদ্দিনের নামীয় খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ-দখলে থাকাবস্থায় ১৭ অক্টোবর বিকেলে জমিতে গাছ রোপন করছিল। এ সময় আকস্মিক ভাবে প্রতিপক্ষ মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে কছিমউদ্দীন ও তার ২ ছেলে কামাল হোসেন, কাওছার ও মেয়ে জামাই মতিয়ার রহমান জমির মালিক বছির উদ্দিনের ছেলে ছমির উদ্দিন, ইসমাইল হোসেনকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করতে থাকে। এ সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চকমহেশ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আজাদকেও মারপিট করে। হামলাকারীদের আক্রমনে ছমির উদ্দিন, ইসমাইল ও আজাদের মাথায় গুরুত্বর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয় ফেরদাউস ও সাইফুল ইসলামকেও মারপিট করে হামলাকারীরা। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ধামইরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে অভিয্ক্তু কছিম উদ্দিনের ০১৭৪৫-৩৭০৫৪৮ নম্বরে কথা হলে তিনি বলেন, যারা আপনার কাছে অভিযোগ করেছে তাদের কাছেই ঘটনার বিবরণ শোনেন, আমি কিছু বলতে পারবো।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় দরবারে বসেছিলেন আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউর রহমান, তিনি প্রতিবেদককে জানান, উভয় পক্ষকে ডেকেছিলাম তারা কি মুলে জমির মালিক, বৈঠকে সমাধান না হওয়ায় সে বিষয়ে আদালতে ও আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছি, তবে আজকের মারামাটির ঘটনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করছি, যা কাম্য নয়।
কছিম উদ্দীন চলতি সপ্তাহেই ছমির উদ্দিনের ওই জমিতে একাধিক বার দূর্বৃত্তায়ন চালিয়ে আকাশমনি, ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ প্রকাশ্যে কর্তন করেছিল,যা থানা পুলিশ অবগত আছে।
ধামইরহাট থানার ওসি মো. রাইসুল ইসলাম জানান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে জেনেছি, লিখিত অভিযোগটি হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসীরা জানান, কছিম উদ্দীন গং প্রায় সময়ই ছমির উদ্দিনের উপর অন্যায় নির্যাতন চালিয়ে আসছেন, আমরা তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।