আশরাফুল আলম জীবন, রায়পুর লক্ষীপুর।।
লক্ষ্মীপুরে গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশন থেকে বাসে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক(ডিসি) বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্তকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা, বাখরাবাদ গ্যাস বিভাগের কর্মকর্তা ও বিআরটিএ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটিকে দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সদর হাসপাতালে পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবার ও আহতদের খোঁজ-খবর নেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। এসময় নিহত তিনজনের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
আহতদের তালিকা করে তাদের চিকিৎসার ব্যয় নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। তাঁর সঙ্গে ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আকতার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান ও লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিচ্ছিল মেঘনা ক্লাসিক (চট্ট মেট্রো-জ-১১-১৯৪০) নামে একটি বাস। এসময় বাসে বিস্ফোরণ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয় ও নয়জন আহত হন।
নিহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে মোটর মেকানিক হৃদয়। পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ (৩২) ও ভবানীগঞ্জের চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে মো. সুমন (২২)। ইউসুফ ও সুমন অটোরিকশার চালক ছিলেন৷
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার বিহয় নগর এলাকার মো. ফারুকের ছেলে মো. ফাহাদ (১৮), চররুহিতা এলাকার মফিজ উল্যার ছেলে মো. রকি (২৪), আবিরনগর এলাকার রিপনের ছেলে হৃদয় (২১), টুমচর এলাকার হারুনের ছেলে মো. শান্ত (১৯), সমসেরাবাদ এলাকার আরিফ হোসেনের ছেলে ছালাহ উদ্দিন (১৬), রামগতি উপজেলার পূর্ব চরসীতা গ্রামের মাফুর ছেলে মো. সিরাজ (৩৫), আলেকজান্ডার এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে সুমন (২৫), রায়পুরের চরমোহনা গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে আবদুল মালেক (৪৯) ও কমলনগরের চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মহিবুর রহমানের ছেলে আবদুর রহিম (৪০)।
জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখার তালিকা অনুযায়ী দেখা গেছে আহত এবং নিহত সবাই দরিদ্র পরিবারের সদস্য। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাদের কারো হাত, কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।