কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
ঝুকিপূর্ণ ব্রিজ ও বিধ্বস্ত সড়কই হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রামের ৪ ইউনিয়নের লাখো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে সদরের গারুহারা এলাকার ঝুকিপূর্ণ ব্রিজ ও সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষসহ বিভিন্ন যানবাহন। এ অবস্থায় দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণসহ সড়কটি মেরামত করে দুর্ভোগ কমানোর দাবি স্থানীয়সহ জনপ্রতিনিধিদের। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতসহ ভাঙা ব্রিজের স্থলে নতুন ব্রিজ নির্মানের কথা জানায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভেঙে গেছে ব্রিজের দু’দিকের রেলিং, বিধ্বস্ত সড়কও। আবার কোথাও কোথাও ভেঙে গেছে ব্রিজের পাঠাতনের ঢালাই। তার উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন,পারাপার হচ্ছে মানুষ। এই দৃশ্য কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় থেকে ওয়াপদা বাজার সড়কের গারুহারা এলাকার। গারুহারা এলাকায় ডোবার উপর ২০ বছর আগে নির্মিত ১০০ ফুট দৈর্ঘের ব্রিজটি কয়েক বছর থেকে এ অবস্থায় পড়ে থাকলেও কোন প্রদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। এতে চরম দুর্ভোগ নিয়ে সড়কে যাতায়াত করছেন কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার শত শত যানবাহনসহ লক্ষাধিক মানুষ।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় থেকে ওয়াবদা বাজার সড়কে যাতায়াত করা আবু মিয়া বলেন, খুব কষ্ট নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। যেকোনো সময় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটবে। দ্রুত রাস্তাসহ গারুহারা ব্রিজটি সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহারা এলাকার পথচারী ফিরোজ আলম বলেন, কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব না। আমার এখানকার হাজার হাজার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জালালের মোড় যাওয়া রাস্তাটি। এছাড়াও এ রাস্তায় গারুহারা এলাকায় একটা ব্রিজ আছে সেটিও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অন্য এলাকার কেউ এই রাস্তায় একবার আসলে, আর কোনদিনও আসতে চাবে না। রাস্তা ও ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, তার পরেও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছি।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ বাবলু মিয়া বলেন, জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র গারুহারার সড়কটি ব্যবহার করে সদরের যাত্রাপুর, পাঁচগাছী, উলিপুরের বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ও কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করেন। সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রিশাদ জামান জানান, সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় নতুন ব্রিজসহ সড়কটি পাকা করা হবে। টেন্ডার হয়েছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য- বিগত কয়েক বছরের বন্যাসহ এবারের দু-দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে ১০০ ফুট ব্রিজসহ ৪ কিলোমিটার এ সড়কটি।