মাসুদ সরকার, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি।।
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ভরা জাতীয় উদ্যান আলতাদিঘী শাল বন। এখানে সদ্যই নির্মিত ওয়াচ টাওয়ার যেন মরণ ফাঁদের পরিণত হয়েছে। এতে আতঙ্কিত বোধ করছেন আগত পর্যটক ও স্থানীয় জন সাধারণ।
ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে সোজা উত্তরে মাত্র ৫ কিলো মিটার দুরে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট উপজেলার সীমান্তের কাটা তারের বেড়ার কোল ঘেঁষে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। যেহেতু ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ভরা এই জায়গাটি সে কারণে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও গবেষনা কেন্দ্র এবং অসংখ্য পর্যটক পরিদর্শন সহ নানা গবেষণার জন্য এখানে ছুটে আসেন। কিন্তু এখানে সদ্যই নির্মিত ওয়াচ টাওয়ারটি নিন্ম মানের সামগ্রী এবং জোড়া তালি দিয়ে কাজ করায় এ যেন এক মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে মৃত্যুর মতো বড় দূর্ঘটনা। ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা কার্যালয়ের তথ্য মতে ২৬৪.১২ হেক্টর আয়তনে এই এই আলতাদিঘী শালবনকে ২০১১ সালে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে (২০২৪) বন বিভাগের তত্বাবধানে একটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়। অভায়রণ্য পর্যবেক্ষণের জন্য। নির্মিত এই টাওয়ারের উচ্চতা ৭৫ ফিট উচু। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যলয় থেকে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালেদ এন্টার প্রাইজ, মধুরডাঙ্গা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। ১ কোটি ৫ লাক ৬ হাজার ২ শত টাকা ব্যায়ে এই টাওয়ার নির্মাণ কাজ করেন।
এলাকাবাসী ও এখানে আশা পর্যটকদের কাছ থেকে জানা যায়, মানুষ টাওয়ারের উপরে উঠলে রেলিং লড়বড় করে। আবার কোথাও রেলিংগের গোড়ায় দেখা দিয়েছে ফাটল ফলে ঝুঁকি পুর্ণ ওয়াচ টাওয়ারটি এখন পর্যটকদের কাছে আতঙ্কের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে ধামইরহাট বন বিট কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ সমাপ্তির সময় রয়েছে। এখনেো কাজ চলমান। এলাকাবাসী ও পর্যটকদের দাবি উধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে টিক সই একটি ওয়াচ উপহার দেওয়া। অন্যথায় এ টাওয়ারটিতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি মৃত্যুর হতে পারে।