জাকারিয়া শেখ, ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি।।
বালুচরে স্বপ্ন বুনছেন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চরাঞ্চলের বাদাম চাষিরা। নদীর তীরের ধু ধু বালুচর এখন সবুজে ছেয়ে গেছে। গত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদমে চলছে বাদাম ক্ষেত পরিচর্যা। ভোর থেকে গোধূলী বেলা পর্যন্ত পরিবারের সব সদস্য কাজ করছেন বাদাম ক্ষেতে। পরিশ্রমে ক্লান্তি নেই এ অঞ্চলের চাষিদের। ফসল ঘরে তুলতে পারলে পরিশ্রমের কষ্ট নিমিষেই ভুলে যান তারা। তাদের কাছে জীবন মানে প্রকৃতির সঙ্গে নিত্য দিনের লড়াই।
তবে আশায় গুড়ে বালি, বাদাম ক্ষেতে পোঁকার আক্রমণে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা। বাদাম ক্ষেত রক্ষার্থে কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোঁকা দমনে ব্যার্থ হয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন চড় গোড়কমন্ডল এলাকার কৃষকেরা ।
সরেজমিন ঘুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চরগোরকমন্ডল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষক হানিফ মিয়া বাদাম ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। তিনি জানান,আমরা প্রতি বছর হাঁড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বাদাম চাষ করে বিঘা প্রতি ১০/১১ মণ বাদাম উৎপাদন করি। কিন্তু এ বছর ক্ষেতে বিষাক্ত পোঁকার আক্রমণে কচি মগডাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক প্রয়োগ করে মগডাল ও পাতায় পচন বন্ধ হচ্ছে না।গত বছর কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতা পেলেও এ বছর কৃষি অফিসের কোন পরামর্শ পায়নি। তারা ফসল রক্ষার্থে কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
একই এলাকার বাদাম চাষি লাভলু মিযা জানান, চার বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছি অন্যান্য ফসলের তুলনায় পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা বাদাম চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাদামের মগডালে বিষাক্ত পোঁকার আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে কীটনাশক প্রয়োগ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি আরো জানান ফসল রক্ষা করতে না পারলে অনেক বড় লোকসানে পড়বে।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াসমিন জানান, এ বছর মোট ৭ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বাদামের চাষাবাদ করছেন। এসব এলাকায় আমাদের সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ শুধু বাদাম চাষিদের নন, অন্যান্য ফসল চাষিদের মাঝে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। চরগোরকমন্ডল এলাকার বাদাম চাষিরা পোঁকার আক্রমণের কথা আমাদের কৃষি অফিসের কাউকে জানায়নি, তারপরও ওই সব কৃষকদের ফসল রক্ষার্থে মাঠে গিয়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।