Homeশিক্ষা-শিক্ষাঙ্গনটাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পায়নি পাবিপ্রবি

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পায়নি পাবিপ্রবি

মিকাইল হোসাইন,পাবিপ্রবি প্রতিনিধি।।

বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং তালিকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গর্ব এবং প্রত্যাশার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই র‍্যাঙ্কিংয়ের তালিকা প্রকাশের দিনটি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও গর্বের মানদণ্ড নির্ধারণের এক বিশেষ দিন। আজ (৯ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) এর প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫’-এর তালিকায় এবারও স্থান পায়নি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। এটি দেখার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশার ছায়া নেমে এসেছে।

এই র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মোট ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়, আর বাকি সাতটি জায়গা পেয়েছে রিপোর্টার ক্যাটাগরিতে। তালিকার প্রথমেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এরপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

এই তালিকায় স্থান পাওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা পাবিপ্রবির সাথে একই সময়ে শুরু হলেও র‍্যাঙ্কিংয়ে জায়গা করে নেয়নি পাবিপ্রবি, যা শিক্ষার্থীদের মনে আরও বেশি আক্ষেপের জন্ম দিয়েছে।

ফয়সাল আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যেন ঠেলা গাড়ি হয়ে গেছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পাবিপ্রবির পরে যাত্রা শুরু করেছে, তারা অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এখনও সেই পুরনো ধাঁচেই পড়ে আছি।
এসময় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য প্রয়োজন মানসম্মত গবেষণা এবং শিক্ষায় আরও বেশি বিনিয়োগ। এভাবে চলতে থাকলে কখনোই আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে আমরা জায়গা পাব না ।

উল্লেখ্য,টাইমস হায়ার এডুকেশনের এই র‍্যাঙ্কিং শিক্ষার মান, গবেষণার পরিবেশ, ইন্ডাস্ট্রিতে সংযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্ভাবনার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান মূল্যায়ন করে তৈরি করা হয়। এবারের সংস্করণে ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২০০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে করা হয়েছে এই তালিকা। শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি, যা টানা ৯ বছর ধরে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি।

সর্বশেষ খবর