টাঙ্গাইল প্রতিনিধি।।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে মুসলিম উদ্দিনকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ভূঞাপুর-যমুনা সেতু সড়কের মাটিকাটা এলাকায় দুই ঘণ্টা ব্যাপী এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নিহতের পরিবারসহ হাজারো মানুষ অংশ নেয়। পরে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। অবরোধের কারণে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইউপি সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন, মোনায়েম হোসেন মোন্নাফ, নুরুল ইসলাম নুরু, মোঃ হাসমত নেতা, মোঃ মোমিন মিয়া, রতন মিয়া, মোঃ শিবলু, আকাব্বর হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুসলিম উদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার ইন্ধন দাতাসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তারা।
এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহিমা বিনতে আখতার। তারা দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়। এসময় সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন- মুসলিম উদ্দিন হত্যার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা বিনতে আখতার বলেন, মুসলিম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামিদের ব্যাপারে আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর বিকেলে সালিশ শেষে ফেরার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র সহকারে মুসলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায় সুজন, রাকিব, মর্তুজ ও তার সহযোগীরা। হামলায় নিহত হয় মুসলিম। আহত হয় মুসলিমের বাবাসহ আরও ৬জন। এ ঘটনায় মুসলিমের ভাই মুসা বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হালিম নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।