শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি।।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বগুড়ার শেরপুরে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল এগারোটা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা মহাসড়কে অবস্থান করে। অবশেষে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাদের কলেজের কৃষি বিভাগের প্রদর্শক মাহবুবুল হকের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন তারা। এর আগে দুই দফায় মহাসড়ক অবরোধ করা হলে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষ থেকে তাদের বাড়িতে গিয়ে ও মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরণের হুমকী দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা আবার রাস্তায় নেমেছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মুসফিকা আক্তার সূচনা, সাদিয়া ইসলাম মৌ, রাবেয়া আম্মেদ বলেন, দুই দিন পরেই কলেজ ছুটি হবে। আমাদের আন্দোলন থামানোর জন্য কৌশলে কালক্ষেপন করা হচ্ছে। এছাড়া আন্দোলন বন্ধ করার জন্য আমাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এবং মোবাইল ফোনে হুমকী দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনরত ছাত্রী নুসরাত জাহান রিসতার বাবা রাজু আহমেদ বলেন, “আমার মেয়ে আন্দোলন করছে। এজন্য আমার পরিবার হুমকীরমূখে। এমনকি আন্দোলন বন্ধ না হলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ারও হুমকী দেওয়া হচ্ছে।“
আড়াই ঘন্টা অবরোধ চলাকালে স্থানীয় প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় বসে। শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ি অভিযুক্ত শিক্ষকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয় পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত চিঠি হাতে পেলে বেলা ২টায় অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রীরা। এরপর তারা আনন্দ মিছিল করে কলেজে প্রবেশ করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, “এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কলেজের গভর্ণিং বডির কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে গভর্ণিং বডি আইনগত ব্যবস্থা নেবে।“