জাহিদ খান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি।।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলায় অদ্য ৬ অক্টোবর রোজ রবিবার রাত ৮.৩০ মিনিটে বি এন পি র দুই গ্রুপের ( নাজির হোসেন ও আ: মানান)এর কর্মী ও সমর্থক দের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়।এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন সমর্থক আহত হয় বলে জানা গেছে।
এই ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব বিষ্ণু চন্দ্র সেন মারাত্বক ভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। উল্ল্যেখ্য- বিষ্ণু বিগত ৫ই আগস্ট ২০২৪ স্বৈরাচার হাসিনার পতনকে বেগবান করতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়ায় বিষ্ণু চন্দ্র ৪৬টি রাবার বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল।
উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ফুলবাড়ি পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যতা স্বীকার করেন ও জানান এ পর্যন্ত কেউ মামলার জন্য থানায় আসেনি।কেউ মামলা করতে চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয় কুড়িগ্রাম রাজারহাট ও ফুলবাড়ি সংসদীয় আসনের বি এন পি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা নেতা জনাব লুৎফর রহমান একটি প্রতিবাদ মূলক খোলা চিঠি লিখেছেন।যা নিম্ন রুপ।
বি এন পি নেতা জনাব লুৎফর রহমানের খোলা চিঠি-
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা ধানের শীষের ভোট ব্যাংক। সংগঠনিক ভাবেও এখানে বিএনপির শক্ত অবস্থান। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির খণ্ডিত রূপের প্রথম প্রকাশ ঘটে ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির কমিটির উপর কমিটি দেয়াকে কেন্দ্র করে। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিতে প্রকাশ্যে ২টি গ্ৰুপ আর অপ্রকাশ্যে যেমন আরও গ্ৰুপ আছে, তেমনি ফুলবাড়ী উপজেলাতেও একই দৃশ্য বিদ্যমান।
ফুলবাড়ীতে আজ দুপুরে বিএনপির দু গ্ৰুপের সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে মুকুলের গদিঘর সহ অস্থায়ী পার্টি অফিস। আমি আশংকা করছি সংঘর্ষের ব্যাপ্তি প্রসারিত হতেই থাকবে।
খুব কষ্ট পেয়েছি বিষ্ণু চন্দ্র সেন আজ মারাত্বক ভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। বিষ্ণু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সদস্য সচিব। বিগত ৫ই আগস্ট ২০২৪ স্বৈরাচার হাসিনার পতনকে বেগবান করতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়ায় বিষ্ণু চন্দ্র ৪৬টি রাবার বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। কারফিউ মুহূর্তে ওকে নিয়ে আমরা কয়েকজন বড় বিপাকেই পড়েছিলাম। অনেকের আর্থিক সহযোগিতায় গরিব ও অসহায় বিষ্ণুর চিকিৎসা করে সুস্থ করা সম্ভব হলেও আজ সে মাথায় আঘাত পেয়েছে। কয়েকবার বমি করেছে। জানিনা কি হবে ?
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন যুবদল শাখার যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ারুল হক রানাও আজকের সংঘর্ষে আহত। আরো অনেকেই আহত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির শীর্ষ ৩/৪ জন নেতার কারণে বিএনপি আজ লন্ডভন্ড। জেলা সদরে বিএনপির দুটি কার্যালয়। সমগ্র জেলাতেই ওয়ার্ড শাখা পর্যন্ত এই মারমূখী গ্ৰুপিং চলমান। এর অবসান কবে ঘটবে জানিনা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় সহ কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান রিজভী ভাইর কাছে অনুরোধ করছি – দয়া করে দ্রুত হস্তক্ষেপ করুন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপিতে। দেখে শুনে যাচাই বাছাই করে নতুন কমিটি দিতে বিলম্ব হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু মূল দলের কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরী। কুড়িগ্রামের বিএনপিতে আমার কিছুই চাওয়ার নেই। আমি সহ শহীদ জিয়ার প্রকৃত সৈনিকেরা মনে করে বর্তমান অবস্থা চলমান থাকলে কুড়িগ্রামে আরও রক্ত ঝরবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুক। আমিন।