Homeসর্বশেষ সংবাদজলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে যশোর ডিবি অফিস ঘেরাও

জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে যশোর ডিবি অফিস ঘেরাও

ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ রবিবার (৬/১০/২৪) দুপুর ১২টা থেকে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির ডাকে ব্যানার-ফেস্টুন, লাঙল, মই ও আঁচড়াসহ যশোর ডিবি অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন জেলার জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

‘পানি সরাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে দিতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা এর আগে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে একই দাবিতে মানববন্ধন করে দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাওয়ের কথা বলেন।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, মনিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলার কমপক্ষে ৪০০ গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধ। ৩ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শ্রেণিকক্ষে পানি উঠে বন্ধ হয়ে গেছে ২ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

নেতারা বলেন, জনপদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা, ফসল-বসতবাড়ি-জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে জড়িত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও কাজের স্বচ্ছতা আনতে সেনাবাহিনীর তদারকি, আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোর নেতাদের সমন্বয়ে সম্পন্ন করা। তারা আরও বলেন, ভবদহ এলাকার লাখ লাখ একর জমি পানির নিচে, হাজার হাজার ঘরবাড়ি জলমগ্ন, স্কুল-কলেজে পানি। এমন পরিস্থিতিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে তারা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জলমগ্ন ভবদহবাসীর পক্ষে ফলাফল না আসবে, ততক্ষণ এখানে অবস্থান করব।

একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ভিডিওকলে বক্তব্য দেন পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় তিনি বলেন, যশোরের জলাবদ্ধ ৩ উপজেলার মানুষের কষ্ট লাঘবে আর সমস্যার আশপাশ দিয়ে নয়, মূল সমস্যা সমাধানে সবকিছু করা হবে। এছাড়া আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ওই এলাকার কৃষি, এনজিও কিস্তি, ঋণ মওকুফসহ স্বাস্থ্য ও খাদ্য ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি।

বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বদানকারী ভবদহ পানি উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, এবার টিআরএম বাস্তবায়ন, আমডাঙ্গা খাল খননসহ যাবতীয় কাজে লুটপাট ঠেকাতে স্থানীয়রা নজরদারি করবে। সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিক্ষোভ চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ কুমার বাওয়ালী, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব অধ্যাপক চৈতন্য পাল, আমিনুর ইসলাম হীরু, জিল্লুর রহমান ভিটু, কানু বিশ্বাস, অনিল কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।”

সর্বশেষ খবর