ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করে আঘাতের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনকে আশ্বাস দেয়নি ইসরায়েল। অর্থাৎ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে দেশটি। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
মঙ্গলবার হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে বড় ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এরপর পরই ইরানে হামলার হুমকি দেয় ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট কার্ট ক্যাম্পবেল বুধবার বলেছেন, ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামলার বিষয়ে শুধু ইসরায়েল নয় বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ভাবছে।
মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশোধ নিতে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার বার্ষিকী ব্যবহার করবে কিনা তা বলা সত্যিই কঠিন।
এদিকে গত ২ অক্টোবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলাকে সমর্থন করেন না। বাইডেন বলেছিলেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ‘ইসরায়েল কী করতে চলেছে’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল – ইসরায়েল যদি এখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে তিনি সমর্থন দেবেন কী না?
তার জবাব ছিল – ‘না’।
উচ্চ পর্যায়ের অনেক মার্কিন কর্মকর্তার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করেছেন। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক সংঘর্ষের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।