মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধি।।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাংশ।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার সময় কিশোরগঞ্জ বাজারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মামলায় অভিযুক্ত বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী। তিনি বলেন, দুঃখ জনক হলেও সত্য, একটি ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য নতুন করে আর একটি মিথ্যা ঘটনা সৃষ্টি করা হয়। যে ঘটনা ঘটে গেছে, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জ মেডিকেল মোড়ে সজিব মেডিকেল কর্ণার। ঘটনার দিন বিএপির অপর অংশের ৩০-৪০ জন লোক পূর্ব শূত্রতার জের ধরে আমাকে আক্রমন করতে আসে। আমাকে না পেয়ে তারা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে আমি আমার ছোট ভাই সদর চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় আছি। এ সংবাদ পেয়ে রাস্তায় তারা ৬০/৭০ জন লোক সংঘবদ্ধ হয়ে এসে আমার ছোট ভাইয়ের উপর হামলা করে তারও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে আমার ছোট ভাইসহ আরো অনেকে আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিৎকিসা নেয়। পরে আমার ছোট ভাই সুস্থ হওয়ার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর নীলফামারী কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তারা আসামী হওয়ার কারনে আমিসহ ২১ জনের নামে একটি মিথ্যা মামলা আনায়ন করে। ওই ভিত্তিহীন মামলায় জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়াকে ছোট করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করা হয়। কিশোরগঞ্জে চার বছর যাবত বিএনপি কিংবা অঙ্গসংগঠনের কোন পার্টি অফিস ছিল না। মরহুম রাজ্জাকুল ইসলাম রাজা ভাই যখন সভাপতি ছিল আর আমি সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। তখন রাজা ভাইয়ের বাসায় একটি অস্থায়ী অফিস ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর সেই অফিসটিও বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে অদ্যবদি কিশোরগঞ্জ কোন পার্টি অফিস নেই। যেখানে পার্টি অফিস নাই সেখানে পার্টি অফিস ভাংগচুর, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি ভাংচুর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়াকে গালিগালাজ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাংচুরের কোন প্রশ্নই আসে না। আমার শরীরের এক বিন্দু রক্ত থাকা অবস্থায় এ রকম কাজ কেউ করতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য মশিয়ার রহমান, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম লাল, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও বাহাগীলি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আহাদুল ইসলাম (দুলাল বিডিআর), চঁাদখানা ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ শাহ, মাগুড়া ইউনিয়ন বিএপির সাবেক সভাপতি লিয়াকত হোসেন মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক লিয়াকত আলী ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দাদ-ই-ইলাহী প্রমূখ।