বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পদত্যাগ না করলে কমিশন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিনিয়োগকারীকে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন বিনিয়োগকারীরা। তারা জানান, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই বিএসইসির চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে মতিঝিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন তারা।
শেয়ারবাজারের লেনদেন ও সূচকের মান চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই নিম্নমুখী। এ অবস্থায় আন্দোলনে নামেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিযোগ, বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিনিয়োগকারী বান্ধব নন। তার দেড় মাসের মেয়াদে টানা ভুল সিদ্ধান্তে লোকসানে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
ব্যাংকখাত উদ্ধারে প্রণোদনা দেয়া হলেও পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো কার্যকরী সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি বলেও অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। তারা বলেন, ব্যাংকখাতের উন্নয়নে টাস্কফোর্স করা হয়েছে; সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।
এ পরিস্থিতিতে কোনো ব্যাংকার বা অধ্যাপক নয়, কাঠামোগতভাবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিনিয়োগবান্ধব চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবি তাদের। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির সামনের সড়ক অবরোধ করে ‘অযোগ্য বিএসইসির চেয়ারম্যান হটাও দেশের পুঁজিবাজার বাঁচাও’ স্লোগান দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ সব কর্মকর্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।