Homeসর্বশেষ সংবাদকুড়িগ্রামে তিস্তাসহ সব নদ- নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে- ধরলা-ব্রহ্মপুত্র গিলে খাচ্ছে এক...

কুড়িগ্রামে তিস্তাসহ সব নদ- নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে- ধরলা-ব্রহ্মপুত্র গিলে খাচ্ছে এক ইউনিয়ন

ইমরুল হাসান সাজন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।।

কুড়িগ্রামে নদ- নদীর পানি কমতে থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তবে বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়ী ফিরে গেছে।

কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যায় তিস্তা নদী তীরবর্তী রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যা কবলিত হয়। পানি বন্দি হয়ে পড়ে দেড় হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ী ও কাঁচা সড়ক। এছাড়াও পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠেছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের ভাঙন। প্রতিদিনই নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে অসংখ্য পরিবার।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, আকস্মিক বন্যায় আমনসহ ৫’শ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপা আমনের ক্ষতি কিছুটা কম হলেও, অন্যন্য ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষি বিভাগ।

এদিকে, বন্যার পানি নামতে থাকায় ধরলা,তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন স্পটে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ী অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক,হাট-বাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ।

এরই মধ্যে গতকার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া এলাকার একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এখানকার বাসিন্দারা।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, মাত্র দুইদিনের আমার এলাকার প্রায় ৫০-৬০ টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। আর যারা হুমকিতে আছে তারা বাড়ি ঘর সরিয়ে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে। আমরা এখানকার মানুষ খুব কষ্টে আছি ভাই।

একই এলাকার মোঃ নবীর ইসলাম বলেন, দুই দিনের ভাঙনে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও ৫০টি বাড়ি ঘর নদীতে চলে গেছে। এখানে এতো কিছু হওয়ার পরেও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা খুব কষ্ট আছি ভাই। এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আমার ইউনিয়নটা ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ গিলে খাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান বলেন, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র তিস্তা,দুধকুমার নদীর ৭টি পয়েন্টে বন্যার পানি সমতলে হ্রাস পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে। তবে ভাঙন রোধে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় কাজ করার কথা জানান পাউবো।

Exit mobile version