রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত তাসলিমা বেগম রেনু হত্যা মামলার রায় ৯ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। এ দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত পরবর্তী ৯ অক্টোবর রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক। এছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্ক দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এই দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন রয়েছে।
২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা ইমরুজ কনিকা।
এ মামলার আসামিরা হলেন-ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেনু। এ সময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত রেনুর ভাগিনা সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।