শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি।।
ঘটনার দীর্ঘ ১০ মাস পর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে বগুড়ার শেরপুরের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুইজন সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১৪১ জনকে আসামী করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু এই মামলা দয়ের করেন।
দীর্ঘ কয়েক মাস পর এই মামলা দায়ের করা প্রসঙ্গে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর স্থানীয় বিএনপি অবরোধ কর্মসূচী পালন করার সময় আওয়ামী লীগের লোকজন উপর্যুপরি ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাঁদের মিছিলে হামলা করে নেতাকর্মীদের আহত করে। এসময় তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। এ ঘটনায় তারা মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। উপরন্তু তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করে ২১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তাঁরা এই মামলা দায়ের করার সুযোগ পান। তাই শনিবার রাতে তাঁরা এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা থানা পুলিশের উপর পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম মামলা রেকর্ড করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামির মধ্যে রয়েছেন বগুড়া- ৫ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান মজনু, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের ছেলে বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আসিফ ইকবাল, শেরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম, শেরপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শুভ ইমরান, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল আলম খোকন, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সারওয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন, উপজেলার খামারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মমিন মহসীন, সুঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জিন্নাহসহ ১৪১ জন।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রাপ্তির পরেই শনিবার রাতে এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।