জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির দুই সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন জনপ্রিয় আলেম ও ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি লেখেন ‘ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কি পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্ম বিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বেঈমানি। ’ পোস্টের কমেন্টে কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফার কয়েকটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন তিনি।কমেন্টে বক্সে আহমাদুল্লাহ আরও লেখেন, ‘অবাক করা ব্যাপার হলো, এসব ধর্মবিদ্বেষীরা কেউ কারিকুলাম বা পাঠ্যপুস্তক বিশেষজ্ঞও না। তবুও তাদের চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের ওপর। কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করুন। ’
প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।
আলেম সমাজের অভিযোগ, কমিটিতে ইসলাম বিদ্বেষী, সমকামিতাকে সমর্থন করে এমন ব্যক্তিরা রয়েছে। কমিটি থেকে তাদের বাদ দেওয়ার দাবি জানান। অধ্যাপক মামুন বিগত দিনগুলোতে তার ক্লাসে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধবিদ্বেষী নানা বক্তব্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বক্তারা। তাদের দাবি, সামিনা লুৎফা সমকামিতা ও লিঙ্গ স্বাধীনতার নামে বিকৃত মতবাদের সক্রিয়কর্মী।