নেই কোনো সুদ, সার্ভিস চার্জ, নেয়া হচ্ছে না জামানতও। তবুও প্রায় দুই দশক যাবত দেশের শীর্ষ শিল্প গোষ্ঠি বসুন্ধরা গ্রুপ পরিচালিত বসুন্ধরা ফাইন্ডেশন দিয়ে যাচ্ছে ঋণ। আর এই সহজ শর্তের ঋণ পেয়ে জীবন বদলে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর, নবীনগরসহ কুমিল্লার হোমনার প্রায় সাতাশ হাজার তিনশ চল্লিশ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের। যাদেরকে দেওয়া হয়েছে প্রায় ছাব্বিশ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা।
এরই ধারাবাহিতকায় বাঞ্চারামপুরে আজ মঙ্গলবার ৪৮১ জন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীকে দেওয়া হলো ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকা।
বাঞ্চারামপুরের ৪৮১ জন নারী উদ্যোক্তা, যাদের উপর নির্ভর করছে ৪৮১টি পরিবার। এদের প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখছেন নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে। তবে আর্থিক অস্বচ্ছলতা সেই স্বপ্নকে ঝাপসা করে দিচ্ছিল। তখন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। দেশের শীর্ষ শিল্পোগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ পরিচালিত এই ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে মঙ্গলবার তাদেরকে দেয়া হচ্ছে ৭৮ লাখ ৫ হাজার টাকার ঋণ সহায়তা।
এখানকার অনেক দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাই ইতিপূর্বে বিভিন্ন মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণের ফাঁদে নিঃস্ব হয়েছেন। আর সেখানে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ-সার্ভিস চার্জমুক্ত এই ঋণ সহায়তায় জীবন পাল্টে গেছে তাদের।
২০০৫ সাল থেকে পরিচালিত সুদমুক্ত জামানতবিহীন এই ঋণ প্রকল্পের জন্য শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরই নয়, নবীনগর ও কুমিল্লার হোমনারও হাজার হাজার পরিবার হয়েছে স্বাবলম্বী।
স্থানীয়রা বলছেন, শুধু ঋণই নয়, শিক্ষাবৃত্তিসহ, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অনুদানসহ, প্রতি শুক্রবার ফ্রি চিকিৎসা সেবাসহ বহুমুখি সহায়তা দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে তাদের জীবনমানে।
সুদ-সার্ভিস চার্জমুক্ত ও জামানতবিহীন এ ধরণের ঋণ দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ বলে মন্তব্য করেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ট্রেজারার ময়নাল হোসেন চৌধুরী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মাইমুন কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।