ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বাড়ি থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর আইরিন আক্তার তিথী (২১) নামের এক স্কুলছাত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের দুধসর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিথী দুধসর গ্রামের আশরাফ হোসেনের মেয়ে ও রাবেয়া খাতুন গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
গত শুক্রবার একটি ফোনকল পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি আইরিন আক্তার তিথী।
এ নিয়ে তিথীর পিতা আশরাফ হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ৭টা থেকে ৮টার দিকে তিথী ও তার মা একই রুমে অবস্থান করে। এরপর অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে তিথীর মোবাইলে একটি ফোন কল আসে। এ নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। সাথে সাথে তিথী বাইরে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে ঘটনাটি তাকে জানালে তিনি ভাটই বাজার থেকে বাড়ি ফিরে আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
পরে রোববার সকালে শৈলকূপা থানায় একটি জিডি দায়েরের পর একই দিন বিকালে বাড়ির পাশে মাঠে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান তারা। তাদের ধারণা মেয়েকে কে বা কাহারা হত্যার পর তার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এসিড দেওয়া হয়েছে। আইরিন আক্তার তিথী আহসাননগর দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে পরে তাকে পুনরায় রাবেয়া খাতুন গার্লস স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়।
তিথীর মা রেখা খাতুন জানান, পার্শ্ববর্তী ভগবান নগরের একটি ছেলের সাথে তার মেয়ের মোবাইলে প্রায়ই কথা হতো। এ নিয়ে মেয়ের সাথে প্রায়ই বাকবিতণ্ডাও হতো তিথীর বাবা মায়ের।
তিথীর নিখোঁজের ঘটনায় জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শৈলকূপা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনির হাজরা বলেন, প্রাথমিক ধারণা আইরিন আক্তার তিথীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর মাঠে ফেলে রাখা হয়। রাতেই তিথীর মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিথী নিখোঁজের জিডি মামলায় রূপান্তরিত করা হবে বলে তদন্ত কর্মকর্তা মুনির হাজরা জানান।